বানভাসি মানুষরাও আনন্দের সঙ্গে ঈদ উৎসব পালন করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বানভাসি মানুষদের ঈদ উদযাপনের জন্য আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ভিজিএফের চাল সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া আমি প্রতিটি জেলায় গিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে বানভাসি মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য তাদেরকে ১০-২০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছি।
শুক্রবার দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবলদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আশুলিয়ার বাইপাইলে অবস্থিত এলাহি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ডা. এনামুর রহমান আরও বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২২টি মন্ত্রণালয় নিয়ে বৈঠক করেছি। সে অনুযায়ী দেশের ২৮টি বন্যা কবলিত জেলা পরিদর্শন করে যেখানে যতটুকু ত্রাণ প্রয়োজন সেই অনুযায়ী আগাম ত্রাণ সামগ্রী পাঠিয়ে দিয়েছি।
ত্রাণ নিয়ে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যাকবলিত অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় জেলা প্রশাসন, স্থানীয় সংসদ সদস্য, দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছি। এছাড়া বিভিন্ন এনজিওসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষও বানভাসি মানুষদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে। ত্রাণ পায়নি এমন কোনো লোক নেই। কোথাও কোনো স্বজনপ্রীতির বিষয় আমার নজরে পড়েনি।
ডেঙ্গুর বিষয়ে ডা. এনামুর রহমান বলেন, আমার সংসদীয় এলাকায় মিটিং করেছি। পৌর এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তাদের নেতৃত্বে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন অভিযান শুরু করা হবে। আশা করি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে আনতে পারব।
সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিসেস হাসিনা দৌলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকার পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, সাভার উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন খান, ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, আশুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাবুদ্দিন মাদবর প্রমুখ।