সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও কালোটাকায় আচ্ছন্ন সমাজে সততার নজির স্থাপন করলেন ঝিনাইদহের কালিগঞ্জের চটপটি বিক্রেতা বেলাল হোসেন। চলতি পথে কুঁড়িয়ে পাওয়া ৬৩ হাজার ৫০০ টাকা তুলে দিলেন সত্যিকার মালিকের হাতে। তার এই সততার কারণেই বেঁচে গেল এক কাঠ ব্যবসায়ীর ক্ষুদ্র ব্যবসা।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার চটপটি বিক্রি করে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন বেলাল হোসেন। এ সময় পথে একটি টাকার বান্ডেল পেয়ে রাতেই উপস্থিত হন এলাকার চেয়ারম্যানের বাড়িতে। পরে শুক্রবার চেয়ারম্যান আইয়ূব হোসেন এলাকায় প্রচার চালিয়ে টাকার মালিক খুঁজে বের করে কুড়িয়ে পাওয়া টাকা তুলে দেন তার হাতে।
বেলাল হোসেন কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা গ্রামের নুরুল হক মোল্যার ছেলে। আর হারানো টাকার মালিক একই উপজেলার পারখুলা গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ।
বেলাল হোসেন বলেন, আমি নিজে একজন অভাবী মানুষ। বাবা মায়ের অভাবের সংসারে ছোট থেকে বড় হয়েছি। সব সময় সৎ উপায়ে কাজ করে সংসার চালানোর চেষ্টা করেছি। কখনও কারও অর্থের প্রতি লোভ করিনি। প্রকৃত মালিকের হাতে টাকাটা ফেরত দিতে পেরে আমি খুশি।
এদিকে হারানো টাকা ফিরে পেয়ে প্রতিক্রিয়ায় আব্দুর রশিদ বলেন, আমি নিজেও গরীব মানুষ। ধারদেনা করে কাঠের ব্যবসা করি। আমার হারানো টাকাটা ফেরত পেয়ে মানুষ সম্পর্কে আমার ধারণা পাল্টে গেছে।
তিনি বলেন, বিনিময়ে বেলাল হোসেন ও চেয়ারম্যানকে মিষ্টিমুখও করাতে পারিনি। কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ূব হোসেন জানান, অভাব সব মানুষকে নষ্ট করতে পারে না বেলাল তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ।