রাজধানীর ধামরাইয়ে একটি ভোজ্যতেল তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ১১ কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ২ হাজার টন নিষিদ্ধ শুকরের মাংস, হাড়, চর্বি জব্দ করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ ছাড়াও পুরাতন ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ভোজ্য তেল (রাইস ব্র্যান অয়েল) পুনঃবাজারজাতকরণের উদ্দেশ্যে নতুন ‘প্রাইস অ্যান্ড ডেট ট্যাগ’ লাগানোর মতো ঘৃণ্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা ও কারখানা সিলগালা করা হয়েছে।
শনিবার (০৩ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাথুলি এলাকায় ভোজ্যতেল ও বিভিন্ন খাবার তৈরির কারখানা কেবিসি এগ্রো লিমিটেডে এ অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব সদরদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সারওয়ার আলম।
এ সময় তাঁর সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও ঢাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা সৈয়দ মো. আলমগীর। আর অভিযানটি সমন্বয় করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ৪, ক্রাইম প্রিভেনশন কম্পানি ২ এর স্কোয়াড কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার উনু মং।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জানান, কেবিসি এগ্রো (প্রাঃ) লিমিটেড হেলথ কেয়ার নামের প্রতিষ্ঠানটি সয়াবিন তেল তৈরি করার জন্যে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে হংকং থেকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ শুকরের চর্বি আমদানি করে। এছাড়াও একই উপকরণ ব্যবহার করে মাছ ও মুরগির খাদ্যও তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল তারা। খবর পেয়ে আমরা অভিযানে আসি এবং অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাই।
পরে কেবিসির মহাব্যবস্থাপক তাপস দেবনাথ ও পরিচালক জাহিদুর রহমানের কাছ থেকে ২ লাখ ৯৮ হাজার ২শত ৬০ মেট্রিক টন শুকরের চর্বি, মাংস ও হাড় আমদানির চালান ফরম জব্দ করা হয়। কিন্তু সেখান থেকে আমরা জব্দ করতে পেরেছি মাত্র ২ হাজার টন। ধারণা করা হচ্ছে বাকিগুলো তারা ব্যবহার করেছে ও বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেছে।
ম্যাজিস্ট্রেট আরো জানান, শুকরের চর্বি ও মাংস যারা আমদানি করে এই প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করছে তাদের চিহিৃত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।