নোয়াখালী- নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্যালেন্ডারে ১৫ আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’কে ‘জাতীয় আনন্দ দিবস’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সেটি আবার বিপণনও করেছেন বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।
এ ঘটনায় স্থানীয় সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, স্থানীয় প্রশাসনকে ঘুমে রেখে কিভাবে ‘জাতীয় শোক দিবস’কে ‘জাতীয় আনন্দ দিবস’লেখা হয়েছে! অভিযোগের তীর বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দিকে।
তবে শুধু স্থানীয়রাই নয়, বিদ্যালয়টির এমন কাণ্ডে ফুঁসে উঠেছে নেটিজেন। ইতিমধ্যে ফেসবুকে বিদ্যালয়টির বার্ষিক ছুটির সেই ক্যালেন্ডারটি ভাইরাল হয়েছে।
সেখানে দেখা গেছে, পবিত্র শবে কদর, জুমাতুল বিদা ও ঈদুল ফিতরের ছুটির পর (১০ জুন থেকে ২২ জুন) যে ছুটিটি রয়েছে, তা হলো ১৫ আগস্ট। আর সেদিনটিকে ‘জাতীয় আনন্দ দিবস’ হিসেবে লেখা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার মীর ওয়ারিশপুর ইউনিয়নের কেন্দুরবাগ বাজার সংলগ্ন অক্সফোর্ড আইডিয়াল স্কুলের নামে ছাপানো ২০১৯ সালের ক্যালেন্ডারে ১৫ আগস্ট ‘জাতীয় শোক দিবস’-এর বদলে ‘জাতীয় আনন্দ দিবস’ উল্লেখ করা হয়েছে। অভিভাবকরা এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করলে তিনি এটিকে‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’বলে উল্লেখ করেন। বছরের ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও ভুল গায়ে মাখেননি প্রধান শিক্ষক। এমনকি ক্যালেন্ডারটি প্রত্যাহার করে নেয়ার কোনো উদ্যোগও নেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন, অক্সফোর্ড আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুর হোসেন জিততলী ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর ও বেগমগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের অর্থ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি নাশকতার মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় তিনবার গ্রেপ্তার হয়ে কারাবাস করেন। তাদের ধারণা, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে অক্সফোর্ড আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক নুর হোসেন-এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আলী আশরাফকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।