ঢাকা- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে ডেঙ্গুর যে মহামারি চলছে তা নিয়ে সারা দেশের মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছে। আর এটা নিয়ে সরকারদলীয় লোকেরা হাসি-তামাশা করছেন। আসলে মন্ত্রী ও মেয়রদের কোনো লাজ-শরম নেই। যেটাকে এক কথায় বলা যায় বেহায়া।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের জন্য কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, মিডিয়া গুরুত্ব দেয়ায় মানুষ ডেঙ্গুর ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে পারছে। না হলে এই সরকার গুজব বলে উড়িয়ে দিত। এরা যেহেতু জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, তাই এদের উদ্দেশ্য থাকে জনগণের টাকা লুট করার।
তিনি বলেন, এই সরকার দেশের জনগণের সকল অধিকার কেড়ে নিয়েছে। জনগণ আজ অসহায়। জনগণের কাছে কোন জবাবদিহি আছে বলে তারা মনে করে না। কারণ তারা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, আজকের পত্রিকায়ও আছে, গতকাল রোববার এক হাজার ৭৬০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন শুধু ঢাকায়। আর এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজারের ওপরে। অথচ মন্ত্রী যিনি দায়িত্বে আছেন, এমনকি মেয়র সাহেবরা কী বলেছেন, সেটা রিপিট করতে চাই না। আসলে এদের কোনো লজ্জা নেই। এরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তাই তাদের জবাবদিহিতা নেই। তাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হচ্ছে যেকোনো প্রকারে ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং জনগণের অর্থকে লুণ্ঠন করা। সংসদ তো এখন কিছুই নেই। ওখানে তথাকথিত তাদের পছন্দমতো একটা বিরোধী দল দাঁড় করিয়ে রেখেছে। এই সরকার একেবারেই গণবিরোধী। জনগণের স্বার্থবিরোধী সরকার।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নিজেদের সুরক্ষার জন্য ব্যাপক দুর্নীতি করেছে। আমরা এমন একটা রাষ্ট্রে বসবাস করছি, যেখানে জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। কিন্তু সরকার নিজেদের সুরক্ষার জন্য ব্যাপক দুর্নীতি করছে। সেই দুর্নীতির টাকা দিয়ে দেশের বাইরে বাড়িঘর করছে। সেখানে থাকার ব্যবস্থা করছে। এটাই হলো বাস্তবতা। এই সরকার মানুষের স্বার্থবিরোধী সরকার। তারা মানুষের ন্যূনতম অধিকারকে লুণ্ঠন করে ক্ষমতায় থাকতে চায়।