ঢাকায় নিযুক্ত ভূটানের রাষ্ট্রদূত সোনাম তোবদেন রাবগিয়ে গতকাল বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন।প্রেসিডেন্ট হামিদ বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য খুঁজে দেখা এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।প্রেসিডেন্টের প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বৈঠক শেষে জানান, প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ ও ভূটানের ব্যবসায়ী এবং বিনিয়োগকারিদের মধ্যে সফর বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রেসিডেন্ট হামিদ বাংলাদেশ এবং ভূটানের মধ্যকার ঘনিষ্ট সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, দু’দেশের মধ্যকার সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময়ে দু’দেশের মধ্যে এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের শুভ সূচনা হয়।প্রেসিডেন্ট ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ হিসেবে ভূটান সরকার এবং সেদেশের জনগনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ও ভূটান বিদ্যুৎসহ কয়েকটি সেক্টরে উন্নয়নের জন্য একসঙ্গে কাজ করছে। তিনি সফল ভাবে দায়িত্ব পালন শেষ করায় ভূটানের রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।ভূটানের দূত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশটির দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে বিগত তিন বছরে এই সম্পর্ক আরো জোরদার হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভূটানের দূত ঢাকায় তার দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের আন্তরিক সহযোগিতা পাওয়ায় প্রেসিডেন্টের প্রতি কৃতজ্ঞগতা প্রকাশ করেন।অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্টের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।