দেশের নানা প্রান্ত থেকে পশু নিয়ে রাজধানীর হাটগুলোতে হাজির হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রস্তুত রাজধানীর ১৮টি কোরবানির পশুর হাট। সব কটি হাটে পর্যাপ্তসংখ্যক পশু রয়েছে। তবে এখনো জমে ওঠেনি কেনাকাটা। ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, শুক্রবার থেকে পুরোদমে জমে উঠবে পশুর হাটগুলো।
ঢাকায় পশু রাখার মতো পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় দামে কম পেলেও এখনো পশু কেনায় ক্রেতাদের আগ্রহ কম। আগামী শনি ও রবিবার সবচেয়ে বেশি পশু বিক্রি হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। গতকাল বুধবার ভাটারার সাঈদনগর এবং আফতাবনগরের দুটি হাটে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
শুক্র, শনি এবং রবিবার—এই তিন দিন অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর অনুমোদন দিয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। আর হাট বসানোর প্রস্তুতির জন্য আরো দুই দিন পেয়েছেন ইজারাদাররা। তবে আগস্টের প্রথম দিন থেকেই পশুর হাটগুলোতে গরু, ছাগল, দুম্বা, মহিষসহ অন্য পশু আনা শুরু হয়। পশুর হাটের নির্ধারিত সময়ের আগেই পশু আনা শুরু—এটি জানার পরও সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেননি। এ ব্যাপারে দুই সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগের কর্মকর্তারা মন্তব্য করতেও রাজি হননি।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভাটারার সাঈদনগর এবং আফতাবনগরের দুই হাটে পশু উঠতে শুরু করে গত সোমবার থেকে। এই তিন হাটে কোরবানির পশুর মধ্যে গরুর সংখ্যা বেশি। ছাগলসহ অন্য পশুর জন্য আলাদা জায়গা রাখা হলেও এখনো তা খালি। ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা এবং পশু রাখার উপযোগী ব্যবস্থা আগেই করা হয়েছে। ছোট, বড়, মাঝারি সব ধরনের গরু উঠেছে এই তিন হাটে। ৫০ হাজার থেকে ছয় লাখ টাকা দামের পশু রয়েছে এই তিনটি হাটে।
সাঈদনগর পশুর হাটের ইজারাদার ইকবাল হোসেন খন্দকার বলেন, ‘দু-চারটি গরু বিক্রি হয়েছে। তবে আগামীকাল শুক্রবার থেকে পুরোদমে বিক্রি শুরু হবে। প্রতিবছর ঈদের আগের তিন দিন গরু বিক্রি বেশি হয়।’