রাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সরকারি বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে এক হিজড়াকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সরকার যখন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের অধিকার নিশ্চিত করতে কাজ করছে সেই সময়ে রিয়াদি শামস নামের ওই হিজড়াকে নিয়োগ দেয়া হলো। এই চাকরি পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত তিনি।
বুধবার (৭ আগস্ট) জার্মান ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চার বছর আগে রিয়াদির পরিবার তাকে ত্যাগ করে। তবে নিজের সফলতার জন্য কাজ করে যাচ্ছিলেন তিনি। অ্যাকাউন্টিং বিভাগ থেকে পড়াশুনা শেষ করে গেল চার মাস ধরেই চাকরি খুঁজছিলেন।
তিনি বলেন, আমি যখন এখানে কাজ শুরু করি তখন ভেবেছিলাম সমাজের অন্যান্য জায়গার মতো এখানেও আমাকে বিরূপ আচরণের শিকার হতে হবে। তবে আমি এখানে সেই আচরণ পাইনি।অল্পদিনের মধ্যেই রিয়াদির সঙ্গে সরকারি ওই বাসার অন্যান্যদের সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।
সেখানে কর্মরত রেফাত নামের এক পুলিশ সদস্য বলেন, তার ব্যবহার অনেক ভালো। আমাদের সঙ্গে খুব মিলেমিশে থাকেন তিনি।পড়াশুনার ক্ষেত্রে অন্যদের সহায়তা করেন তিনি।একজন বলছিলেন, মন্ত্রী এবং তার স্ত্রী বলছিলেন রিয়াদির কাছ থেকে সহায়তা নেয়ার জন্য। আমি তার থেকে সহায়তা নেই। কিছু বিষয়ে তিনি বেশ পারদর্শী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরা পিতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয় না, ভোটাধিকার পায় না, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে না। সেজন্য আমরা মনে করি তাদের এভাবে চলতে দেয়া যেতে পারে না। সেটা প্রধানমন্ত্রী বুঝেছেন এবং খুব শিগগিরই যাতে তাদের সেই দু:খ অবসান হয় সেজন্য পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।