সারাদেশে ছাত্রলীগের প্রায় ২০০-২৫০ নেতাকর্মী ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের চিকিৎসা ও আর্থিক সহযোগিতা জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে স্বাস্থ্যসেল।
ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও স্বাস্থ্যসেলের চিকিৎসক সালেহ মোহাম্মদ হাসান আতিক সিএনএন বিডি ২৪.কমকে বলেন, আমরা শুরু থেকেই সাহায্য করে যাচ্ছি। আমাদের কাছে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফোন করে পরামর্শ নেন তাঁদের নিজেদের বা স্বজনদের চিকিৎসার জন্য। হাসপাতালে ভর্তি করা, রক্ত সংগ্রহ করে দেওয়া এবং কারো যদি আর্থিক সমস্যা থাকে তাহলেও আমরা তাদেরকে সহযোগিতা করে থাকি।
ছাত্রলীগের কতজন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত জানতে চাইলে ডা. সালেহ মোহাম্মদ হাসান আতিক সিএনএন বিডি ২৪.কমকে বলেন সারাদেশে ২০০-২৫০ জন আর এদের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির রয়েছেন ৮ থেকে ১০ জন।
ছাত্রলীগের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক উপ সম্পাদক ও স্বাস্থ্য সেলে দায়িত্ব প্রাপ্ত শাফিউল ইসলাম সাজিব সিএনএন বিডি ২৪.কমকে বলেন, বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য আমি নিজে প্রতিদিন ৫-৭ টা ফোন পাই। আমার মত এমন সবাই ফোন পায় এবং আমরা সাধ্য মত চেষ্টা করি সহযোগিতা করার জন্য। জটিল বা অর্থনৈতিক বিষয়গুলো আমরা সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের কাছে জানাই তাঁরাই সেটা দেখেন।
ছাত্রলীগের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক উপসম্পাদক ও স্বাস্থ্যসেলের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডা. শাহজালাল সিএনএন বিডি ২৪.কমকে বলেন, আমাদের কাছে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি। তবে অনেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিল। তাদের অনেকেই যদিও এখন আশঙ্কা মুক্ত। এদের মধ্যে ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল আলম রেজা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক উপসম্পাদক হিমেল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মী রেজভী আহমেদ, আসাদুজ্জামান, সজিবের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল, তবে বর্তমানে তাঁরা সবাই আশঙ্কামুক্ত। ডা. শাহজালাল আরো বলেন, এদের মধ্যে গতকাল সজিবের রক্তে প্লাটিলেট ছিল ১৭ হাজার; যা বর্তমানে ৩০ হাজারে উন্নতি হয়েছে।
এছাড়া রেজভী আহমেদ একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ছিলেন। তাঁকে দেখতে ওই হাসপাতালে যান ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
স্বাস্থ্যসেলের দায়িত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি ডা. মঞ্জুর মোর্শেদ অসীম, ডা. সালেহ মোহাম্মদ হাসান আতিক ও শাহরিয়ার ফেরদৌস হিমেল। এছাড়া আছেন স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক উপসম্পাদক শাফিউল ইসলাম সাজিব, ফোরকান চৌধুরী, ডা. শাহজালাল ও রাতুল শিকদার।
সারা দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি একটি ডেঙ্গু চিকিৎসা সেল গঠন করে। ওই সেল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে তথ্য রাখে এবং সহযোগিতা করে।