বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাবাসের ১৮ মাস পার হলেও তাকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা। যদিও মাঝখানে ক্ষমতাসীনদের সাথে আপোসের গুঞ্জনও উঠেছিলো। সবকিছুতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন তাদের নেত্রীর জন্মদিন দিনের (১৫ আগস্ট) কেক না কেটে বঙ্গবন্ধুকে সামনে রেখে খালেদা জিয়ার মুক্তির পথ খুঁজছে।
খালেদা জিয়ার জন্মদিন ছিল বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট)। প্রতিবারই দলীয় নেত্রীর জন্মদিন পালন করে বিএনপি। প্রথম প্রহরে বিশাল কেক কেটে জমকালো জন্মদিন পালন করেন দলের নেতাকর্মীরা। কিন্তু এই প্রথম দলীয় নেত্রীর জন্মবারে কোনো কর্মসূচি দেয়নি বিএনপি। কর্মসূচি দিয়েছে একদিন পর।
মূলত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে সম্মান করে খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কেক কাটেনি বিএনপি।
অনেকেই বলছেন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে ক্ষমতাসীনদের সহানুভূতি পাওয়ার জন্যই এমনটা করেছে বিএনপি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বক্তব্যই তা স্পষ্ট হয়েছে।
আলাল বলেন, জাতীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনাকে সম্মান দেখিয়ে নির্ধারিত দিনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালিত করেনি বিএনপি।
আলাল বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে নিজের জন্মদিন নিয়ে বির্তকের অবসান চেয়েছিলেন। সংসদ নেতা হিসেবে তিনি আহবান জানিয়েছিলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দিয়ে এ বির্তকের অবসান ঘটাতে।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল নিয়ে টুঙ্গিপাড়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছেন খালেদা জিয়া। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছেন।
আলাল বলেন, আমরা ২০১৬, ১৭, ১৮ সাল ও চলতি বছরে আমরা ১৫ আগস্ট চেয়ারপারসনের জন্মদিন পালন করছি না।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৫ই আগস্ট একটা ঘৃণ্য ঘটনা, এটাকে সমর্থন করার প্রশ্নই ওঠে না।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি কখনই বঙ্গবন্ধুকে সম্মান দিয়ে কথা বলেনি। আজ হঠাৎ করে নরম শুরে কথা বলার মানেই হচ্ছে সরকারকে খুশি করে তাদের নেত্রীকে কারাগার থেকে মু্ক্ত করা।