কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার অভিযোগে করা মামলায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেওয়া জামিনের মেয়াদ আরো এক বছর বৃদ্ধি করেছেন হাইকোর্ট। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের সময় খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, এ এইচ এম কামরুজ্জামান মামুন, সালমা সুলতানা সোমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অপর দিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম
এর আগে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টের একই বেঞ্চ কুমিল্লার এ মামলায় খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন।
ওই দিন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছিলেন, গত বছরের ১২ মার্চ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া জামিন পান। সেদিনই তাঁর জেল থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত এবং সরকারের হস্তক্ষেপের কারণে তিনি এখন পর্যন্ত কারামুক্তি পাননি। সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে তাঁর কারাবাসকে দীর্ঘায়িত করছে। আইন যদি তার নিজস্ব গতিতে চলে, তা হলে তিনি অবিলম্বে মুক্তি পেয়ে জনগণের কাছে ফিরে আসবেন।
গত বছরের ২৮ মে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়াকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নাশকতার দুটি ঘটনায় হত্যা ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা দুই মামলায় ছয় মাসের জামিন মঞ্জুর করেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করলে আপিল বিভাগ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় করা হত্যা মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেন।
বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধ চলাকালে ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে একটি নৈশকোচে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। আইকন পরিবহনের ওই বাসটি কক্সবাজার থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। ওই ঘটনায় আগুনে পুড়ে ঘটনাস্থলে সাতজন নিহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো একজন মারা যান। এ ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরির্দশক (এসআই) নূরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন। এ ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।