ডিবি’র সহকারী কমিশনারের ড্রয়ার থেকে ইয়াবা চুরি, কনস্টেবল কারাগারে
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন সহকারী কমিশনারের (এসি) অফিসের ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা চুরি করেছেন কনস্টেবল। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার ঢাকা মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জাল হোসেন তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তার আগে ওইদিন সকালে সোহেল রানাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় ইয়াবা চুরির মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক অশোক কুমার সিংহ। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, কনস্টেবল সোহেল রানা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন, তিনি সেদিন রাতে ডিবি অফিসে গিয়ে সহকারী কমিশনারের অফিসের ড্রয়ারের তালা ভেঙ্গে পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা চুরি করেন। চুরি করা এসব ইয়াবা গেন্ডারিয়া থানার একটি মাদক মামলার আলামত। পরে ওই ইয়াবাগুলো সোহেল রানার বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়। সোহেলের বাসায় খাটের জাজিমের নিচে ইয়াবাগুলো পাওয়া গেছে। এছাড়া চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি স্ক্রু ড্রাইভারও সোহেলের বাসায় পাওয়া যায়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সিসি টিভির ফুটেজে দেখা গেছে গত ১৬ই আগস্ট দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে এক ব্যক্তি ডিবি কার্যালয়ের ফটক দিয়ে পুকুরপাড়ে যান। পরবর্তীতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও পেশাদার খুনি দমন টিমের (ডিবি পশ্চিম) অফিস কক্ষের সামনে দেখা গেছে তাকে। রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে ইয়াবা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে তিনি ডিবি অফিসের প্রধান গেটে দিয়ে বের হয়ে শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণির দিকে চলে যান।
পরদিন সকাল ৭টার সময় ডিবির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু সুফিয়ান প্রধান গেটে দায়িত্ব পালনের জন্য যান। এসময় অফিস থেকে ডিবির জ্যাকেট নেয়ার জন্য সহকর্মী ফারুকের কাছ থেকে চাবি নেন তিনি। অফিসে গিয়ে আবু সুফিয়ান দেখতে পান, দরজার সামনের বারান্দার সিলিং এবং ভেতরের দক্ষিণ কোণের সিলিং খোলা। পরে কক্ষে গিয়ে দেখতে পান মজিবর রহমানের কক্ষের থাই অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি দরজা ও তিনটি ড্রয়ারের তালা ভাঙা।
দ্বিতীয় ড্রয়ারে একটি মাদক মামলার আলামত হিসেবে প্রায় ১০ লাখ টাকা মূল্যের পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা রাখা ছিল। পলিথিনের ব্যাগে রাখা ইয়াবাগুলো চুরি হয় যায়। তখন বিষয়টি ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। এরপর ইয়াবা চোর ধরার জন্য ডিবি অফিসের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা সনাক্ত করা হয় যে, ওই ব্যক্তি কনস্টেবল সোহেল রানা। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. শাহাবুদ্দিন খলিফা বাদি হয়ে ইয়াবা চুরির অভিযোগে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।