বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ফুফুর বাড়ি যাওয়ার সময় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ছয় দিন ধরে আটক রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণের ছয় দিন পর বৃহস্পতিবার বিকেলে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চরদিঘাই মন্ডলপাড়া দুর্গম চর এলাকা থেকে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
একই সময় মামলার প্রধান আসামি অফিল উদ্দিন (২৫) নামে এক জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অফিল উদ্দিন লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার রুদ্রস্বর গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে। শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধুনট উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যর মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। প্রায় ৬ মাস আগে মোবাইল ফোনের রং নাম্বার থেকে অফিল উদ্দিনের সঙ্গে মেয়েটির পরিচয় হয়।
এদিকে গত ১৬ আগস্ট দুপুরের দিকে মেয়েটি সোনামুখী গ্রামে তার ফুফুর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। পথিমধ্যে ভানুডাঙ্গা বাজার এলাকা থেকে অফিল উদ্দিন মেয়েটিকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তুলে অপহরণ করে। এরপর ছয় দিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় আটক রেখে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাইয়ে একাধিকবার মেয়েটিকে ধর্ষণ করে অফিল উদ্দিন।
পরে মেয়েটিকে খুঁজে না পেয়ে তার বাবা ১৮ আগস্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বগুড়া, গাইবান্ধা, লালমনিরহাট ও জামালপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানের এক পর্যায়ে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চরদিঘাই মন্ডলপাড়া যমুনা নদীর দুর্গম চর এলাকা থেকে অফিল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার ও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে।
এ বিষয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বখাটে অফিল উদ্দিন স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করেছে। শনিবার ভুক্তভোগীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।