তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা সম্পর্কে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভালভাবেই সব জানতেন। ফলে এই হত্যাকান্ডের বিচারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে। তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারেক রহমানের প্ররোচনায় এই হামলা হয় এবং তার মা বেগম খালেদা জিয়া এই হামলার ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবকিছুই জানতেন। তিনি বলেন, এই জঘন্য হামলার জন্য বেগম জিয়াকে অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে। -বাসস
হাছান মাহমুদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎ বাষির্কী পালন উপলক্ষে আজ রাজধানীর বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইনিষ্টিটিউট (আইডিইবি) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, সে সময়ে ডিজিএফআই এ ঘটনার তদন্ত করতে চেয়েছিল, বেগম জিয়া তাদেরকে তদন্ত করতে দেননি। ধমক দিয়ে থামিয়ে দেন।
আইডিইবি’র সভাপতি একেএমএ হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে কারিগরি এবং মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম জাকির হোসেন ভূইয়া, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রওনক মাহমুদ এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোরাদ হোসেন মোল্লা অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
যশোর সরকারি কারিগরি স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ আবদুল আজিজ এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বিশেষজ্ঞ সেমিনারে পৃথক দু’টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রেনেড হামলার পর হামলাকারিরা যাতে নির্বিগ্নে পালিয়ে যেতে পারে, সেজন্য পুলিশ এ ঘটনায় হতাহতদের উদ্ধার না করে বরং আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের ওপর টিয়ারগ্যাস সেল নিক্ষেপ এবং লাঠিচার্জ করে।
ড.হাছান বলেন, সে সময়ে এ ঘটনার জন্য আওয়ামীলীগকে দায়ি করে বিএনপি নেতা রিজভীর উস্কানিমুলক বক্তব্য দেয়ার জন্য তাকে আইনের আওতায় আনতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর প্রতি আহবান জানান। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বিএনপি ও তার সহযোগীরা শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে এখন তাকে খতম করে রাজনীতি থেকে সরাতে চায়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অত্যন্ত সুন্দরভাবে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে এবং মাথাপিছু আয় গত ১০ বছরে ৬শ’ ডলার থেকে প্রায় দুই হাজার ডলারে উন্নীত হয়েছে।
‘স্বল্পোন্নত’ দেশ থেকে দেশের ‘উন্নয়নশীল’ দেশে উত্তরণের বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এককালের খাদ্য ঘাটতির দেশ বাংলাদেশ অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও এখন খাদ্র রপ্তানির দেশ। তিনি আরো বলেন, অনেক সূচকেই এখন বাংলাদেশের অবস্থান ভারত ও পাকিস্তানের চেয়েও এগিয়ে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙ্গালী জাতির আত্ম নিয়ন্ত্রণ ও আত্ম মর্যাদার অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু দীর্ঘদিন স্বাধীনতার স্বপ্ন লালন করেছিলেন এবং তিনি স্বাধীনতার ঘোষণার জন্য একটা সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন। বঙ্গবন্ধু সকল বৈরিতা সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করে এ জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু এ দেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে নিজেকে নিয়োজিত করেন। দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধু কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেন। মন্ত্রী এ দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের প্রতি একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।