রকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতার কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি বলে বিএনপির অভিযোগকে নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘রোহিঙ্গা একটা দলের ফেরত যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু অনিচ্ছায় তারা যায়নি। এটা কূটনৈতিক ব্যর্থতা না।’
শুক্রবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের একটা দল ফেরত যাওয়ার কথা, ফেরত যায়নি তাদের অনিচ্ছায়। যে দেশে তারা ফিরে যাবে, আপন দেশে। সেখানে তাদের পরিবেশ, সম্মান, নাগরিকত্ব, নিরাপত্তা এসব বিষয় তাদের মাথায় ছিল, থাকাটাই স্বাভাবিক। এখানে কূটনৈতিক ব্যর্থতার কোনো বিষয় নাই।’
কাদের বলেন, ‘বাংলাদেশের পাশে আজ সবাই। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ থেকে শুরু করে যে দেশেই, যে ফোরামেই গেছেন তিনি এ বিষয়টাকে সামনে নিয়ে এসেছেন। সর্বশেষ চীনে গিয়েও তিনি এ বিষয়টাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কূটনীতি একটা চলমান বিষয়, হুট করে ব্যর্থতা কূটনীতির মধ্যে বলা যায় না। আমাদের প্রয়াস অব্যাহত আছে। আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নাই। অব্যাহত প্রয়াস একদিন সফলতা নিয়ে আসবে, এটা আমরা বিশ্বাস করি।’
কাদের আরও বলেন, ‘১১ লাখ বিদেশির জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে শেখ হাসিনা এত উদারতার পরিচয় দিয়েছিলেন। যার প্রশংসা করেনি পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নাই। আমরা যদি সেদিন তাদের আশ্রয় না দিতাম তাহলে কী বলতো? মিয়ানমারের ওপর সারা দুনিয়ার চাপ বেড়েই চলছে, কাজেই এখানে আমাদের কূটনৈতিক ব্যর্থতা নেই, এটাই কূটনৈতিক সফলতা। আজ যায়নি, কাল যায়নি তবে সবকিছু নির্ভর করছে মিয়ানমারের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার ওপর। সারা দুনিয়া থেকে যে চাপ আসছে আমরা বিশ্বাস করি এ সমস্যার সমাধান একদিন হবে, হতেই হবে। আমরা হাল ছেড়ে দেইনি, হাল ছেড়ে দেব না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর কন্যা, তিনি মাথা নত করার লোক নন, হাল ছেড়ে দেয়ার লোকও নন। মানবতার মা সারা দুনিয়ায় স্বীকৃত, এটা কূটনৈতিক ব্যর্থতা?’
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সমিতির মহাসচিব প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান।