পৃথিবীতে অতিরিক্ত কোনকিছুই বোধহয় ভাল নয়। এমনকি ভালোবাসার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত হলে সেটা বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমন বিরক্তি থেকেই বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন এক নারী। সম্প্রতি এই বিচিত্র ঘটনাটি ঘটেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরা এলাকার শরিয়া আদালতে। জি নিউজ বাংলা
এক প্রতিবেদনে জানা যায়, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রীকে অতিরিক্ত ভালোবাসেন তিনি। স্ত্রীর যাতে কষ্ট না হয় এজন্য স্বামী নিয়মিত রান্না করেন, ঘর পরিষ্কার করেন, ঘর ঝাড়ুও দেন। সবসময় প্রেমের জোয়ারে ভাসিয়ে রাখতে চান স্ত্রীকে। কিন্তু স্বামীর এই ‘অতিরিক্ত’ভালোবাসা বিরক্ত করে তুলেছে স্ত্রীকে। এ কারণে তিনি বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন।
আদালতে দাখিল করা আবেদনে ওই নারী জানিয়েছেন, তার স্বামীর অতিরিক্ত ভালোবাসা তিনি সহ্য করতে পারছেন না। তিনি জানান, তাদের বিয়ের বয়স এক বছর। এর মধ্যে তার স্বামী কখনও তার সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলেননি। কখনও বকাঝাকা করেননি।
ওই নারী বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই স্বামী আমাকে অতিরিক্ত ভালোবাসায় ডুবিয়ে রাখতেন। আমাকে ঘর পরিষ্কার করতেও সাহায্য করতেন। তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী রান্নাও করতেন। এক বছরের মধ্যেও কখনও ঝগড়া হয়নি আমাদের’। ওই নারীর ভাষায়, প্রথম দিকে ভাল লাগলেও স্বামীর এই অতিরিক্ত ভালোবাসা জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে তার।
স্বামীর ভালোবাসায় বিরক্ত ওই স্ত্রী জানান, স্বামীকে রাগানো কিংবা ঝগড়া করার নানা চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু স্বামী সবসময়ই তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং উপহার দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি এরকম ঝামেলামুক্ত বাধ্যবাধকতার জীবন চাই না। কেমন যেন দমবন্ধ হয়ে আসছে । এ কারণে বিবাহ বিচ্ছেদে আবেদন করেছি। স্ত্রী বিচ্ছেদ চাওয়ায় অবাক হয়েছেন ওই স্বামী। তিনি বলেন, আমি তো খারাপ কিছু করিনি। একজন ভাল ও ভদ্র স্বামী হওয়ার চেষ্টা করছিলাম।
স্ত্রী যাতে বিয়ে বিচ্ছেদের মামলা প্রত্যাহার করে এজন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছেন ওই স্বামী। তিনি বলেন, বিয়ের এক বছরের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা বোঝা যায় না। আরও কিছু সময় দেওয়া প্রয়োজন। কারণ প্রতিটি মানুষই তাদের ভুল থেকে শেখে। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর সমঝোতার জন্য ওই দম্পতিকে আপাতত এক সঙ্গে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।