ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন পেয়েছেন গোলাম মাওলা রনি।
সোমবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস শামস জগলুল হোসেন শুনানি শেষে পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার মামলায় তাকে জামিন দিয়ে আদেশ দেন।
এদিন গোলাম মাওলা রনি তার আইনজীবী মো. সাইফুল মালেক চৌধুরীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় গোলাম মাওলা রনিকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আদেশ দেন।
গোলাম মাওলা রনির আইনজীবী সাইফুল মালেক চৌধুরী বলেন, পুলিশ এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে। এরপর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক টেলি কথোপকথনের সূত্র ধরে পটুয়াখালীর গলাচিপা থানায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী এস এম শাহাজাদা সাজুর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী মাসুদ গত ২০ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করেন।
মামলায় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শাহজাহান খান, রনির ভাই সরোয়ার হোসেন, শ্যালক মকবুল হোসেন, চিকনিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিপলু খান ও শাহ আলম সানুকে আসামি করা হয়।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, ১৫ ডিসেম্বর গোলাম মাওলা রনি নিজ দলের নেতাকর্মীদের দিয়ে নিজের স্ত্রীর ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর করান। এরপর ফোনে নির্দেশ দেন যে, ‘একটা সুযোগ এসেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ একসঙ্গে আওয়ামী লীগের ১০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দাও। আমি ওপর মহল থেকে মামলা নেয়ার জন্য প্রেসার ক্রিয়েট করব। গাড়িটি নিয়ে থানায় যাও। তোমার ভাবিকে বাদী করে মামলা কর। মামলা না নেয়া পর্যন্ত থানা থেকে নামবা না। সব নেতাকর্মীকে খবর দাও, হাজার হাজার নেতাকর্মী নিয়ে থানা ঘেরাও কর।’
গোলাম মাওলা রনির এই ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার হয়।
বাদী মামলায় অভিযোগ করেন, জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে জনসাধারণের মধ্য আতঙ্ক সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করছিল।