ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘চিরুনি অভিযানে’ স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাসায় মশক নিধন দলকে ঢুকতে না দেয়াটা অত্যান্ত দুঃখজনক।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে মশক নিধন কর্মীদের চতুর্থ দিনের মতো চিরুনি অভিযান চলাকালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা তো আবাসিক বাড়িগুলোতে প্রথমবার গিয়েই ফাইন করছি না। নির্মাণাধীন ভবনে বা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানা করছি। আমি স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঙ্গলবার যোগাযোগের চেষ্টা করেছি, আজও করেছি। কিন্তু তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
মেয়র বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা সবাই সচেতন না হলে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ কঠিন। ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডেই আমাদের চিরুনি অভিযান চলছে, যা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, অবৈধ দোকান ও হোটেলের কারণে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের পেছনের দিকে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের ভেতরে কোনো অবৈধ দোকান-হোটেল থাকবে না।
প্রসঙ্গত, এডিস মশা নির্মূলে ‘চিরুনি অভিযানের’ তৃতীয় দিনে মঙ্গলবার গুলশানের পার্ক রোডে অবস্থিত স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বাড়িতে ঢুকতে পারেননি এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে নিযুক্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা। মন্ত্রী বাসায় না থাকায় তাদেরকে পরে আসতে বলা হয়।