লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইউসুফ মাহমুদ নামে এক পুলিশ সদস্য তার প্রেমিকার আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে দিয়েছে। এটি সহ্য করতে না পেরে প্রেমিকা ইসরাত জাহান নাফিজা (১৮) বিষপান করে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় ইউসুফ মাহমুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তরুণীর বাবা মো. হেলাল বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রামগতি আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
বাদীর আইনজীবী জসিম উদ্দিন সুমন বলেন, মামলাটি আদালতের বিচারক কাজী সোনিয়া আক্তার আমলে নিয়েছেন। এটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতের দাখিলের জন্য বলা হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন ইউসুফের মা রহিমা বেগম ও বোন ঝর্ণা বেগম। তারা রামগতি উপজেলার বড়খেরী গ্রামের বাসিন্দা। ইউসুফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইন্সে কনস্ট্রেবল পদে কর্মরত আছে।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়খেরী গ্রামের ইয়াছিনের ছেলে ইউসুফের সঙ্গে চরআফজল গ্রামের নাফিজার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সেই সুবাধে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তিনি নাফিজার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এ সময় তিনি আপত্তিকর অবস্থায় ভিডিও ও ছবি ধারণ করে রাখেন। এরপর থেকে ভিডিও ও ছবিগুলো ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তরুণীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিলেন। একপর্যায়ে তরুণী তার পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউসুফ তার ধারণ করা ভিডিও ও ছবিগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। তরুণীর বোনদের ইমোতেও ছবিগুলো পাঠানো হয়। এটি দেখে গত ১ আগস্ট মেয়েটি ইউসুফের বাড়িতে যায়। সেখান থেকে তাকে অপমান করে বের করে দেয় আসামিরা। এগুলো সহ্য করতে না পেরে ৫ আগস্ট সন্ধ্যায় নাফিজা বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
হাসপাতালে ভর্তি করে ১০ আগস্ট পর্যন্ত তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাড়িতে নিয়ে আসলে পরদিন তার অবস্থার অবনতি ঘটলে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম নেওয়ার পথে নাফিজা মারা যায়।