দেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে বলে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সমালোচনা করে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য বছরের সেরা মিথ্যাচার।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই সব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “বেশ কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী তার সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন ‘টেলিভিশন আমি দিতেও পারি, নিতেও পারি। অর্থাৎ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর। সুতরাং গতকাল প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তার কর্মের সাথে সম্পূর্ণ বিপরীত। তার বক্তব্য সত্যের অপলাপ।”
তিনি বলেন, “টেলিভিশন চ্যানেলগুলোকে আওয়ামী রসগোল্লা গেলাতে বাধ্য করা হয়। আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডা মেশিন হিসেবে টিভি চ্যানেলগুলোকে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে টেলিভিশন মালিক ও সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীদের করার কিছুই থাকে না। তাদেরকে বাধ্য হয়ে সরকারি ট্যাবলেট গিলতে হয়। সত্য প্রচার করতে গেলে তাদের পরিণতি হবে ‘আমার দেশ’ পত্রিকা কিংবা ‘দিগন্ত’ ও ‘ইসলামিক টিভি’ চ্যানেলের মতো।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “১৫ আগস্টের সময় বিএনপির সৃষ্টি হয়নি এবং জিয়াউর রহমান তখন তো কোন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন না। তাহলে তাকে অভিযুক্ত করতে আওয়ামী নেতারা এত তৎপর কেন? তৎকালীন সেনাপ্রধানের কোন দায় নেই কেন? কারণ তিনি আওয়ামী লীগের এমপি ছিলেন। ইতিহাসই এর প্রমাণ। যে ব্যক্তিরা সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের প্লট তৈরি করেছিল, যে ব্যক্তিরা খন্দকার মোশতাকের শপথে অংশ নিতে বঙ্গভবনে গিয়েছিল, সেই ব্যক্তিরাই এখন সরকারের চারপাশে ঘোরাঘুরি করছে।”
পঁচাত্তরে আওয়ামী লীগের লোকেরাই একজন আরেকজনকে হত্যা করেছে দাবি করে রিজভী বলেন, “তখন আওয়ামী লীগের নেতারা একজন আরেকজনের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করেছে।”