বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তিনি। অথচ সাধারণ রোগীদের মতোই সরকারিভাবে নির্ধারিত ১০ টাকা মূল্যের বহির্বিভাগের টিকিট কেটে চোখের চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চোখ দেখিয়েছেন তিনি।প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ সময় তিনি হাসপাতালের বর্তমান কর্মকাণ্ড সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন এবং চিকিৎসক ও নার্সদের ধন্যবাদ দেন।
প্রসঙ্গত, হাসপাতালে উপস্থিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাধারণ রোগীদের মতো চিকিৎসা নেওয়ার ঘটনা এই প্রথম নয়। চলতি বছরের এপ্রিলে এই হাসপাতালেই একইভাবে চোখের চিকিৎসা নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা।এছাড়া গাজীপুরের কাশিমপুরে মায়ের নামে স্থাপিত শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন:ইউজিসির অভিন্ন নীতিমালা এবার প্রত্যাখান করল বাকৃবি শিক্ষক সমিতি:
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য যে অভিন্ন নীতিমালা দিয়েছে তা প্রত্যাখান করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।বুধবার (২৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ইউজিসির প্রস্তাবিত ওই নীতিমালার কঠোর সমালোচনা করেন তারা।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান। এ সময় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু হাদী নূর আলী খান, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এ সালাম, বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইয়াহিয়া খন্দকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলননে বক্তারা বলেন, ইউজিসি শিক্ষার মান উন্নয়ন, গবেষণা ও শিক্ষকদের সুযোগ সুবিধা না বাড়িয়ে উল্টো উচ্চশিক্ষাকে গলাটিপে হত্যার ব্যবস্থা করছে। প্রস্তাবিত নীতিমালায় পিএইচডি ইনক্রিমেন্ট, সেশন বেনিফিট সহ বিদ্যমান সুযোগ সুবিধাগুলো কেড়ে নিচ্ছে। ওই নীতিমালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অধ্যাপক বেতন স্কেলের সর্বোচ্চ ধাপে যাওয়ার সুযোগ রাখা হয়নি। এমএস ও পিএইডির জন্য শিক্ষাছুটি কমিয়ে পাঁচ বছর করা হয়েছে। অধ্যাপকদের গ্রেড ১ এ যাওয়ার হার কমিয়ে ১৫ শতাংশ করা হয়েছে। কৃষিতে দেশকে সমৃদ্ধি এবং উন্নয়নের ভূমিকা রাখা কৃষি বিশ্ববিদ্যালগুলোর জন্য আলাদা ও জটিল শর্ত আরোপ করা হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত কৃষি শিক্ষা, প্রযুক্তি ও কৃষি উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করবে। ওই নীতিমালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য ও অপমান করা হয়েছে। এসময় অভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।
বক্তারা আরোও বলেন, ইউজিসির প্রস্তাবিত অভিন্ন নীতিমালায় কৃষি ও কৃষি প্রধান বিশ্ববিদ্যালগুলোর সাথে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপক অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হয়েছে। আমাদের সাথে কোনো প্রকার আলোচনা না করেই ইউজিসি ওই নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে যা আমাদের হতবাক করেছে। ইউজিসি চাইলে ওই নীতিমালা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সুপারিশ করতে পারে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল, সিন্ডিকেট ও সিনেট রয়েছে নীতি নির্ধারণের জন্য, প্রয়োজনে তারা সিদ্ধান্ত নিবে কিভাবে নিয়োগ ও পদোন্নয়ন আরও যুগোপযুগী করা যায়।