একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে সবার জীবনেই উত্থান-পতন, ঝড়-ঝঞ্জা আসে। এরকম নানা প্রতিকূলতায় নিজেদের সামলে নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হয় তাদের। বিএনপির এই দু:সময়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও চলার পথে ধৈর্যচ্যুতি ও মন খারাপের মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু তিনি কীভাবে নিজেকে সামলে ওঠেন? এমন অভিজ্ঞতা নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় মুখ খুলেছেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব জানান, দুঃসময়ে সবার আগে সাহস পান মেয়ের কাছ থেকে। সুদূর অস্ট্রেলিয়া থেকে মুঠোফোনে মেসেজ পাঠিয়ে রাজনীতিবিদ বাবাকে এগিয়ে চলার শক্তি ও সাহস জোগান মির্জা শামারুহ।
ফখরুল বলেন, ‘আমি যখনই একটু মন-টন খারাপ করি, তখন আমার মেয়ে ২-৩টা মেসেজ পাঠায়। আজকে সকালেই (বৃহস্পতিবার) আমাকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছে সে। আমি তা জানাতে চাই আপনাদের- এটা খুব দরকার।’ তার জ্যেষ্ঠ কন্যা মির্জা শামারুহের পাঠানো একটি খুদেবার্তা পড়ে শোনাতে গিয়ে তিনি বলেন, দ্য গ্রেটেস্ট গ্লোরি ইন লিভিং রাইজ নট ইন ফেভার ফেইলিং বাট ইন রাইজিং এভরি টাইম উই ফল। অর্থাৎ আমরা যখন পড়ে যাই, তখন উঠে দাঁড়ানোটাতেই হচ্ছে গ্লোরি। আর কোনো দিন পড়ি না- এটির মধ্যে গ্লোরি নেই। আমরা পড়ছি আবার উঠে দাঁড়াতে হবে- এটির মধ্যেই আমাদের গ্লোরি।
উল্লেখ্য, মির্জা ফখরুলের দুই মেয়ের মধ্যে বড় শামারুহ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শামারুহ বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। মির্জা ফখরুলের রাজনৈতিক অনুপ্রেরণা তার কাছ থেকেই আসে। বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে রাজনীতিতে ও দেশের মানুষের জন্য মির্জা ফখরুলের ত্যাগ স্বীকারের বিষয়টি তুলে ধরেন শামারুহ। একাদশ নির্বাচনের আগে দেশে এসে মির্জা ফখরুলের নির্বাচনী এলাকায় বাবার পক্ষে ভোটও চান তিনি। বারবার কারানির্যাতিত মির্জা ফখরুলকে মানসিকভাবে দৃঢ় থাকতে অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছেন শামারুহ-ই।