মিথ্যা সাজানো মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে এখন রক্ত দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। যেদিন আমরা আন্দোলনে নেমে রক্ত দেবো, সেদিন তিনি মুক্তি পাবেন। তাই প্রস্তুতি নিন, গুলিকে আর ভয় করা যাবে না। প্রাণ দিয়ে হলেও দলীয় চেয়ারপারসনকে মুক্ত করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় রবিবার বিকেলে রাজশাহীর মাদ্রাসা ময়দান সংলগ্ন ফাঁকা সড়কে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের সব মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। কেবল একজন মানুষ চান না খালেদা জিয়ার মুক্তি হোক। উনি হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই এবার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নেত্রীকে মুক্ত করা হবে। আন্দোলনে বাধা দিলে এবার পরিণতি হবে ভয়াবহ। এ সময় নেতাকর্মীদের সংগ্রামে নেমে পড়ার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজশাহী মহানগরীতে ব্যাপক নিরাপত্তা গ্রহণ করে রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। রবিবার সকাল থেকেই নগরীর মোড়ে মোড়ে পুলিশের বাড়তি নিরাপত্তা চোখে পড়ে। সমাবেশস্থলে আরএমপির কুইক রেসপন্স টিমের (সিআরটি) সদস্যদের মোতায়েন করা হয়। প্রস্তুত রাখা হয় জলকামান ও এপিসি কার।
সমাবেশে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, সমাবেশ ঠেকাতে, বিএনপির নেতাকর্মীদের রাজশাহীতে আগমন ঠেকাতে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে বাস চলাচল এমনকি ট্রেনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া গণগ্রেফতার তো আছেই। রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে তিনহাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তিনদিন থেকে নেতাকর্মীরা নিজ বাড়িতে ঘুমাতে পারছে না বলে সমাবেশে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুছ তালুকদার দুলু।
উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যায় ২২টি শর্তে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদ্রাসা ময়দানের পূর্বপাশের পাকা সড়কে বিএনপিকে বিভাগীয় সমাবেশ করার অনুমতি দেয় আরএমপি।