রংপুর-৩ আসন উপ-নির্বাচনে আমাদের কাছে কোনো কেন্দ্রের অভিযোগ আসলে এবং তা প্রমাণিত হলে সঙ্গে সঙ্গেই ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হবে। যতগুলো কেন্দ্রে অভিযোগ আসবে, ততগুলোই বন্ধ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা ।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা দেড়টায় রংপুর জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জিআইজি, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সিইসি বলেন, ভোটকেন্দ্রে কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগ বা কেউ বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হবে। আমরা শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে প্রস্তুত।
সিইসি বলেন, ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে যেতে পারে এবং পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে কেন্দ্র থেকে ফিরতে পারে সে জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। কেউ কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা বা পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ পাবে না।
এসময় ইভিএমে ভোট জালিয়াতি নিয়ে বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিগত সময় তো আপনারা ইভিএমে নির্বাচন দেখেছেন। এ নিয়ে কোনো শঙ্কা থাকার কথা নয়। এটা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন হওয়াতে ক্রটি বিচ্যুতি ঘটতে পারে, এর দ্রুত সমাধানে আমাদের বাহিনী প্রস্তুত থাকবে।
উল্লেখ্য, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য এই আসনটিতে আগামী ৫ অক্টোবর ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এরশাদপুত্র রাহগির আলমাহি এরশাদ (সাদ), বিএনপির রিটা রহমান, স্বতন্ত্র হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, এনপিপির শফিউল আলম, গণফ্রন্টের কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
রংপুর-৩ আসনটি সদর উপজেলা এবং ১ থেকে ৮ নম্বর ছাড়া রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনের মোট ভোটার ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন।