চলমান শুদ্ধি অভিযানের আবারো ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। কিছু দুর্নীতিবাজের জন্য আমাদের এতো অর্জন ম্লান হতে দেয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। যত প্রভাবশালীই হোক না কেন কেউ পার পাবে না।
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে এক অনির্ধারিত বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিতর্কিত ও দুর্নীতিবাজদের ব্যাপারে কোনো ধরনের তদবির না করতে দলের নেতাদের সতর্ক করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ তাদের আশ্রয় দেয়ার চেষ্টা বা তদবির করবেন না। অভিযুক্তদের জন্য আমি কোনো কিছু করতে পারব না। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ক্যাসিনো ব্যবসায়ীদের রক্ষা নেই। তাদের জন্য ভাষাণচরের ব্যবস্থা করছি। সূত্রগুলো জানায়, বৈঠকে কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ এলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন আইনের গতিতে চলবে। এ ক্ষেত্রে নো কমপ্রোমাইজ।
বৈঠক থেকে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের আগে দলের চার সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন শেষ করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। দলের আগামী জাতীয় সম্মেলনে বিতর্কিত নেতাদের বাদ দিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদের স্থান দেয়া হবে বলেও জানিয়ে দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, কেবল যুবলীগ নয়, আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলের আগেই যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে কাউন্সিলের নির্দেশ দিয়েছেন আমাদের নেত্রী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিযান চলবে। দলের তৃণমূলপর্যায়ে যে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলো হবে, আমাদের দলের মধ্যে যেন কোনো অনুপ্রবেশকারী না ঢুকতে পারে এবং নতুন যে কমিটি হবে সেগুলোতে যেন পরগাছা আগাছা স্থান করে নিতে না পারে সে বিষয়ে তিনি সতর্ক থাকতে বলেছেন।