বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার জামিউশ সানি।
সোমবার দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সোয়া ৩ টার পর খবর পাই। খবরটা পাওয়ার পর পরই হলে যাই। সেসময় সেখানে শেরে বাংলা হলের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক, শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট, সহকারী প্রভোস্ট উপস্থিত ছিলেন। বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল উপস্থিত ছিলেন।
মারধর ও হত্যাকাণ্ডে কারা জড়িত ছিল এমন প্রশ্নের জবাবে ছাত্রলীগের বুয়েট সভাপতি জিয়ন নামের একজনের নাম উচ্চারণ বলেন, জিয়ন রয়েছে। মুন্না ছিল না, কারণ মুন্না গতকালই বাড়ি থেকে অনেক রাতে এসেছে। সিক্সটিন ব্যাচের কয়েকজন জড়িত। সেভেনটিন ব্যাচের (দ্বিতীয় বর্ষ) কয়েকজন ফাহাদকে রুম থেকে ডেকে আনেন বলেও তিনি জানান। যারা মারধরে জড়িত তারা সবাই ছাত্রলীগের পোস্টেড নেতা।
জামিউস সানি বলেন, ‘ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমন একটি ঘটনায় ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত থাকতে পারে- এমন ভাবাও কষ্টের। এটা খুবই ন্যাক্কারজনক।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখানে ছাত্রলীগের ছেলে হিসেবে নয়, অপরাধী যে-ই হোক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ১০১১ নং কক্ষ থেকে রোববার রাত আটটায় আবরার ফাহাকে ডেকে নিয়ে যায় হলেরই কয়েজন শিক্ষার্থী। পরে সোমবার রাত আড়াইটার দিকে হলের সিড়ির নিচে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃকরা হলেন- বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার ও ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন।