সম্প্রতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। মোট ১৮ হাজার ১৩৭ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আদেশের বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে জানান রিটকারীদের আইনজীবী মো. কামাল হোসেন।
ভাইভা পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ ২০ জনের পক্ষে রিটটি দাযের করেন এই আইনজীবী। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উত্তীর্ণদের জেলা পর্যায়ে নিয়োগ করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বাবুল রেজাল্টের তথ্য জানান।
পরীক্ষায় পাস করা প্রার্থীদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটেও (www.dpe.gov.bd) এ ফল পাওয়া যাচ্ছে।
গত বছরের ৩০ জুলাই সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ওই বছরের ১ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশ থেকে ২৪ লাখ পাঁচজন প্রার্থী আবেদন করেন। পরে চার ধাপে পরীক্ষা নেয়া হয়। প্রথম ধাপে ২৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ৩১ মে, তৃতীয় ধাপে ২১ জুন ও চতুর্থ ধাপে ২৮ জুন লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর গত সেপ্টেম্বরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের এ লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৫৫ হাজার ২৯৫ জন পাস করেন। পরে গত ৬ অক্টোবর উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত ৮০ ও মৌখিক পরীক্ষার ২০ নম্বর মিলিয়ে ১০০ নম্বরের মধ্যে প্রাপ্ত নম্বর মিলিয়ে এই ফল তৈরি করা হয়। ফল তৈরির কাজটি করে বুয়েট। মঙ্গলবার রাতে বুয়েট থেকে এ ফল প্রকাশ করা হয়। ফল প্রকাশকালে বুয়েটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, সচিব আকরাম আল হোসেন, অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএফএম মনজুর কাদিরসহ নিয়োগ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।