‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে দেশে প্রথমবারের মত শুরু হচ্ছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’।
এ মেলাতেই দেশে প্রথমবারের মত পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল ফোন প্রযুক্তি বা ‘ফাইভ জি’ প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক প্রদর্শন করা হবে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বৃহস্পতিবার সকালে তিন দিনের এ মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়।
বুধবার সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে মেলার খুঁটিনাটি তথ্য তুলে ধরেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
তিনি বলেন, “ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক বিনির্মাণে অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা এবং পরিবর্তিত বিশ্বে নতুন সভ্যতার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, রোবটিক্স বিগডেটা, ব্লকচেইন এবং ফাইভ জি’র বিস্ময়কর প্রভাব দেশে এই প্রথমবারের প্রদর্শন করা হবে।”
ইতোমধ্যে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরুর বিষয়টি তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে ১৭ মার্চ। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা হবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মুজিব বর্ষের প্রথম কর্মসূচি। আমরা প্রযুক্তির দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম সেরা মেলা করতে চাই।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিভিন্ন আইএসপিসহ ৮২টি প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশ নেবে। প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক কেবলে ফোন লাইন, ইন্টারনেট ও টেলিভিশন সংযোগ), মোবাইল অ্যাপ, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও নতুন ডিজিটাল প্রযুক্তি সেখানে প্রদর্শন করা হবে।
জেডটিই, হুয়াওয়ে, নকিয় ও এরিকসন তাদের ফাইভ জি প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে মেলায়। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট টেলিমেডিসিন ও এটিএম সেবা দেখাবে।
মেলায় ২৫টি স্টল, ২৯টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৮টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। www.digitalbangladeshmela.org.bd ওয়েব লিংকে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করলে বিনামূল্যে মেলা দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। মেলায় প্রবেশমুখেও রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা থাকবে।
মেলার উদ্বোধনী পর্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকার জন্য ১৪টি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা দেওয়া হবে। তিন দিনে বিভিন্ন সেশনে হবে ১৩টি সেমিনার। সরকারের মন্ত্রী এবং দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞরা বর্তমানের প্রযুক্তি ও আগামী দিনে প্রযুক্তির গন্তব্য নিয়ে সেসব সেশনে কথা বলবেন।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমরা যত ডিজিটাল হচ্ছি, নিরাপত্তার ঝুঁকি তত বাড়ছে। ইন্টারনেটে নারী ও শিশুর সুরক্ষা বড় প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। আমরা মেলায় একটি পুস্তিকা বিনামূল্যে বিতরণ করব। সেখানে এ বিষয়ে সচেতনামূলক নির্দেশনা থাকবে।”
তথ্য-প্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ী জব্বার বলেন, “আমাদের ডেটা সিকিউরিটি সংক্রান্ত আইন নেই। সেদিকে নজর দিতে হবে। যখন ডিজিটাল আইন করা হয়েছিল, তখন এ বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ডিজিটাল আইনে এটা অন্তর্ভুক্ত করা বা নতুন আইন করা দরকার।”
অন্যদের মধ্যে বিটিআরসি চেয়ারম্যান জহুরুল হক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব নূর-উর-রহমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।