ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়ালের পোস্টার লাগিয়ে দিতে চান আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। তাবিথকে উদ্দেশ্য করে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনার পোস্টার দিন, আমি নিজেই লাগিয়ে দেবো।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুরে নির্বাচনী গণসংযোগের শুরুতে পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। আতিকুল ইসলাম মিরপুরের আলুব্দী ঈদগাহ ময়দানের পাশ থেকেই নিজের নির্বাচনী গণসংযোগ ও পথসভা শুরু করেন। তিনি সেকশন ১১, পলাশনগর, সেকশন ১২, পল্লবী, মিল্কভিটা এলাকায় গণসংযোগ করবেন।
আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুই সিটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উত্তরের নির্বাচনে বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি মনোনীত দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন আতিকুল ইসলাম। আর বিএনপি থেকে লড়বেন তাবিথ আউয়াল।
প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই জোরেশোরে প্রচারণায় নেমেছেন প্রার্থীরা। প্রতিটি অলিতে গলিতে প্রার্থীদের পোস্টারে সয়লাব। এর মধ্যে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল তার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সপ্তম দিনের মতো গণসংযোগে নামলে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় ঢাকা উত্তরে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামকে।
জবাবে আতিকুল বলেন, ‘আপনারাই দেখুন পুরো ঢাকায় তাবিথ আউয়ালের পোস্টার। আমি যদি বলতাম, আমাদের নেতারা যদি বলত পোস্টার ছিঁড়তে, তাহলে তাবিথ আউয়ালের একটি পোস্টারও থাকত না। আমাদের ছেঁড়া লাগবে না। আমি আপনাকে (তাবিথ আউয়াল) বলছি আপনার পোস্টার দিন, আমি লাগিয়ে দেব। একটি পোস্টারও ছিঁড়বে না। এসব অভিযোগ না করে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকেন, ৩০ জানুয়ারি দেখা যাবে, নৌকা বিজয়ী হবেই।’
এ সময় সরস্বতী পূজা উপলক্ষে নির্বাচন পেছানোর দাবির সঙ্গেও একমত পোষণ করে আতিক। আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী বলেন, ‘আমি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি, যদি সম্ভব হয় অবশ্যই নির্বাচন পেছানো হোক। আমি আমার দলের পক্ষ থেকে এবং আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে এই দাবি করছি।’
মেয়র হলে কী করবেন তা নিয়ে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিও দেন আতিকুর। বলেন, ঢাকা শহরের অলি-গলিতে বাতি নাই। বয়স্ক ও নারীরা নিরাপদে চলতে পারেন না। আমি যদি নির্বাচিত হই আগামী ৬ মাসের মধ্যে প্রতিটি এলাকায় এলইডি বাতি জ্বলবে।
বস্তিবাসীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বলেন, পুনর্বাসন না করে কোনো বস্তিবাসীকে উচ্ছেদ করা যাবে না। আমি নির্বাচিত হলে আইনি বিষয়টা দেখব। আর প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বস্তিবাসীদের জন্য ফ্ল্যাট করা হবে। সেখানে কেউ সাত দিনের জন্য থাকতে চাইলে সাত দিনের ভাড়া দেবে, আবার কেউ বছরব্যাপী থাকতে চাইলে এক বছরের ভাড়া দেবে এরকম সিস্টেম করতে যাচ্ছি।
আতিকুল ইসলাম বলেন, স্তব্ধ ঢাকাকে সচল ঢাকা দেখতে হলে নৌকার বিজয়ের বিকল্প নেই। আমি গত ৯ মাসে যে কাজ করেছি তার চেয়ে বেশি কাজ করে আপনাদের সচল, সবুজ, মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ঢাকা উপহার দেব। এজন্য তিনি নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে ভোট চাইতে বলেন। প্রত্যেক ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রচারণাকালে আতিকুলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।