চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দেশে যখন সারা দেশে অপরাধের খবর পাওয়া যাচ্ছে, সে সময় সাবেক কেন্দ্রীয় শিবির সভাপতি ও সিলেট জামায়াতে ইসলামীর আমীর এর বিরু’দ্ধে ত্রাণ দেওয়ার নামে এক জামায়াত নেতার মেয়েকে ধ’র্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযুক্ত এহসানুল মাহবুব জুবায়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও সিলেট মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীরের দায়িত্ব পালন করছেন।
জানা যায়, লকডাউনের কারণে ওই পরিবারটি খাদ্য সং’কটে ছিল। গত সোমবার সহায়তা পেতে কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও সিলেট মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের কাছে যান মেয়েটির বাবা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সিলেট মহানগরীর নায়েবে আমীর মো. ফখরুল ইসলাম । তখন জামায়াত নেতা জুবায়ের পরিবারের অন্য কাউকে দিয়ে এনআইডি কার্ড নিয়ে পাঠাতে বলেন ফখরুল ইসলাম কে।
মঙ্গলবার বিকেলে জামায়াত নেতার মেয়ে জান্নাতুল সাদিকা এনআইডি কার্ড নিয়ে এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের বাড়িতে গেলে তাকে একা পেয়ে ধ-র্ষণ করেন তিনি। দেরি দেখে ওই মেয়ের পিতা এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের বাড়িতে গেলে ঘটনাটি দেখে ফেলেন। তখন বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য হুম’কি দেন কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও সিলেট মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। পরে তার পরিবার থানায় মামলা করে। এতে তাদেরকে এলাকা ছাড়ার জন্য শা’সানো হয়। এবং এই লোকটির জামাতে ইসলামীর রোকন ও নায়েবে আমীর পদ কেড়ে নেওয়ার হুশিয়ারী দেওয়া হয়।
মেয়েটির দাবি, তার পিতাকে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখাচ্ছে শিবিরের ছেলেরা এসে । এছাড়া তার পরিবারটিকেও অবরু’দ্ধ করে রাখা হয়েছে। কারণ মেয়েটির বাবা জামাতের রাজনীতি করার পরেও কেন কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও সিলেট মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের বিরুদ্ধে মামলা করা হল!!
মেয়েটির বাবা বলেন, আমি রেটিনা কোচিং সেন্টারে চাকরি করি। এখন কাজ বন্ধ তাই ঘরে খাবার নাই। এর মধ্যে আমার মেয়ে জান্নাতুল সাদিকাকে জামায়াত সভাপতি এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের কাছে এনআইডি নিয়ে গেলে গেলে সে আমার মেয়ের সর্বনা’শ করছে। মামলা করায় এখন এলাকা ছাড়ার হুম’কি দিচ্ছে সে ।আমিও জামাত শিবিরের রাজনীতি করি । তার এইসব ভন্ডামী আমি মেনে নেব না। আমার মেয়েরে ইজ্জত নষ্ট করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও সিলেট মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর এহসানুল মাহবুব জুবায়ের। আমি এর আগেও তার অনেক কূকীর্তি দেখেছি কিন্ত এইভাবে আমার মেয়ের সর্বনাশ করবে তা চিন্তা করি নাই। শিবির খারাপ তা জানতাম কিন্ত এতটা ঘাতক হবে জানা ছিল না।
সিলেট শিবিরের সভাপতি হাফিজ সুলতান আহমদ বলেন,
এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ভাই যে ঘটনা করেছেন তা আমাদের দলীয় ব্যাপার আমরা সবাই লকদাউনের পর বসে এর একটা বিহিত করব। শয়তানের কুপ্ররোচনায় অনেক কিছু ঘটে যায় তা আমাদের মেনে নিতে হবে।
সিলেট কোতয়ালী থানার ওসি বলেন , খাদ্য সহায়তা দেওয়ার নামে যা ঘটেছে, খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কেন্দ্রীয় ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি ও সিলেট মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর এহসানুল মাহবুব জুবায়ের এখন পলাতক রয়েছেন।