করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের সব ধরনের কার্যক্রম ও প্রস্তুতি মনিটরিং (পর্যবেক্ষণ) করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে বসেই তিনি সার্বিক খোঁজখবর রাখছেন।
গণভবনের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন সরকারের মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের শীর্ষ কর্মকর্তাদের। বিভাগীয় হাসপাতালগুলোর খোঁজখবরও রাখছেন তিনি।
করোনাভাইরাসের কারণ কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষগুলো যেন খাবার সংকটে না পড়ে সেজন্য তাদের পাশে দাঁড়াতে দলীয় এমপি-মন্ত্রী ও নেতা-কর্মীদের নির্দেশও দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
সূত্রটি বলছে, করোনাভাইরাস নিয়ে বিশ্বনেতাদের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উদ্বিগ্ন। তিনি সব সময় স্বাস্থ্য অধিদফতর, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন। দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা। কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সঙ্গেও। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর রাখছেন তিনি।
গণভবনের ওই সূত্র আরও বলছে, শুধু করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নয়, যে কোনো দুর্যোগ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কথা ভাবেন। তিনি গতকালও (বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ) গণভবন থেকে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করেছেন। টেলিফোনে সরকারের একাধিক মন্ত্রী, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ দলীয় নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছেন। দিয়েছেন প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে বৈশ্বিক মহামারিতে পরিণত করোনাভাইরাসে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে ৫ লাখের বেশি। মারা গেছেন প্রায় সাড়ে ২৫ হাজার মানুষ। বাংলাদেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৮ জন, মারা গেছেন ৫ জন।
এ ভাইরাসের বিস্তাররোধে সারাদেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে জনগণকে ঘরে রাখার জন্য মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনীও। এই পরিস্থিতিতে জনগণকে কিছু দিক-নির্দেশনা দিয়ে এবং সরকারের নেয়া কার্যক্রমের কথা জানিয়ে গত ২৫ মার্চ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।