সুপ্রিম কোর্টে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে শুনানির জন্য আরো একটি বেঞ্চ গঠন করেছেন। এ নিয়ে হাইকোর্টের চারটি বেঞ্চ চালু করা হল।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চে অতিব জরুরি সব ধরনের ফৌজদারি মোশন ও তৎসংক্রান্ত জামিনের আবেদনপত্র ই-মেইলে পাঠানো যাবে।
এর আগে গত ১০ মে আপিল বিভাগে চেম্বার আদালত ও হাইকোর্ট বিভাগে তিনটি বেঞ্চ গঠন করেছিলেন প্রধান বিচারপতি।
আপিল বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য চেম্বার জজ হিসেবে বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানকে প্রধান বিচারপতি মনোনয়ন দিয়েছেন।
বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান আগামী ১৪ ও ২০ মে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শুধু ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে চেম্বার কোর্টে শুনানি গ্রহণ করবেন।
এ ছাড়া ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকার্য পরিচালনার জন্য তিনটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছিল।
বিচারপতি ওবায়দুল হাসান অতিব জরুরি সব ধরনের রিট ও দেওয়ানি মোশন এবং তৎসংক্রান্ত আবেদনপত্র নেবেন। অতিব জরুরি সব ধরনের ফৌজদারি মোশন এবং তৎসংক্রান্ত আবেদনপত্র নেবেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন।
এ ছাড়া বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার সাকশেসন আইন, অ্যাডমিরালিটি কোর্ট আইন, ব্যাংক কোম্পানি আইনসহ কয়েকটি আইনের অধীনে আবেদনপত্র ও আপিল শুনানি গ্রহণ করবেন।
এ অবস্থায় গত ৭ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গণভবনে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আদালত কর্তৃক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার অধ্যাদেশ ২০২০’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
দুই দিন পর গত ৯ মে ভার্চুয়াল কোর্ট সম্পর্কিত অধ্যাদেশ জারি করা হয়।