দেশের পোশাক কারখানায় এখন পর্যন্ত ৫৫ জন শ্রমিকের মধ্যে করোনা উপসর্গ পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৪৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর এক তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে।
কারখানাগুলোয় করোনা আক্রান্তের তথ্য সংগ্রহ ও শ্রমিকদের চিকিৎসা দিতে বিজিএমইএর কয়েকটি টিম কাজ করছে। তাদের সংগ্রহ করা তথ্যে করোনা আক্রান্ত শ্রমিকের বিষয়ে প্রথমবারের মতো তথ্য উঠে আসে।
বিজিএমইএর ওই তথ্য থেকে জানা যায়, ২৮ এপ্রিল দেশের পোশাক কারখানায় প্রথম একজনের শরীরে করোনার উপসর্গ পাওয়া যায়। পরের দিন ২৯ এপ্রিল ২ জনের মধ্যে এই ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। ২ মে ৬ জনের মধ্যে করোনা উপসর্গ পাওয়া যায়। ৩ মে ৩ জন, ৪ মে ২ জন, ৫ মে ১ জন, ৬ মে ১২ জন, ৭ মে ১জন, ১০ মে ১৫ জন, ১১ মে দুইজন ও ১২ মে ১০ জনের মধ্যে করোনা উপসর্গ দেখা যায়। এরমধ্যে ১২ মে ১০ জনের মধ্যে ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
তথ্যে আরো জানা যায়, ৪৮ জনের পরীক্ষা হয়েছে, ৫ জনের পরীক্ষা হয়নি এবং একজনের রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।
এদিকে, শিল্প পুলিশের তথ্যমতে দেশের ৩৭ টি পোশাক কারখানায় ৬০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে আশুলিয়ার ২০টি কারখানায় ৩৭ জন, গাজীপুরের ১০টি কারখানায় ১৩ জন, চট্টগ্রামের ৩টি কারখানায় ৩ জন, নারায়ণগঞ্জের ৩টি কারখানায় ৫ জন ও ময়মনসিংহের ১টি কারখানায় ২ জন শ্রমিকের শরীরে করোনা উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
সবশেষ ১২ মের তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আরো ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে দেশে মোট ২৫০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। একই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন আরো ৯৬৯ জন। সবমিলিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৬৬০ জনে।