করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব আর ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকির মধ্যে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছেন আতিকুল ইসলাম। আজ বুধবার দুপুরে দায়িত্ব নেওয়ার পর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে করেন তিনি।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে মেয়র বলেন, ‘বছরব্যাপী মশকনিধনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এই পরিকল্পনায় ডেঙ্গু রোগবাহী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে গত ৭ অক্টোবর থেকে মশার প্রজননস্থল অর্থাৎ হটস্পট চিহ্নিত করার জন্য দুজন কীটতত্ত্ববিদ এবং ১০ জন শিক্ষানবিস কীটতত্ত্ববিদ নিয়োজিত করা হয়েছে। তারা এরইমধ্যে গবেষণা করে কোন এলাকায় মশার ঘনত্ব কত, তা নির্ধারণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’
মশা নিধনে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নাগরিকদেরও সচেতন হতে আহ্বান জানান মেয়র। তিনি বলেন,
‘আপনারা সচেতন হোন, আপনাদের বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখুন। কোথাও যেন পানি জমে থাকতে না পারে।’
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আতিক বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের আয় কমে গেছে। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে তিন লাখ পরিবারকে মানবিক সহায়তা দিচ্ছে ডিএনসিসি। এই ত্রাণ প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে কিউআর কোড পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। যাকে ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে তার মোবাইলে আমাদের দেওয়া কিউআর কোড স্ক্যান করবে। এর মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যাবে, তিনি ত্রাণ পেয়েছেন। এতে অনিয়ম থাকবে না।’
ডিএনসিসির কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা এই কাজ তদারক করছেন বলে জানান মেয়র। হটলাইনে ফোন করে যে কেউ ডিএনসিসির কাছে ত্রাণ সহায়তা চাইতে পারে।
এ ছাড়া কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে পরীক্ষা সহজ করতে ব্র্যাকের সহায়তায় ডিএনসিসির আটটি স্থানে নমুনা সংগ্রহ বুথ চালুর কথা জানান আতিক। তিনি আরো বলেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে এসব বুথ স্থাপন করা হবে। কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষায় একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে।