পাবনার আতাইকুলায় দিনে দুপুরে ব্যবসায়ীর ১৩ লাখ টাকা ছিনতাইচেষ্টার ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকে বহিষ্কার করেছে বালাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ।
বুধবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত দলীয় প্যাডে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এই সিদ্ধান্ত জানান।
আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিরুল আলম জানান, আতাইকুলা থানাধীন সাঁথিয়া উপজেলার বৃহস্পতিপুর বাজারের ভূষি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ও তার ছেলে মুসা কর্মচারীকে সঙ্গে নিয়ে গত রোববার দুপুরে আতাইকুলা বাজার শাখা অগ্রণী ব্যাংকে টাকা জমা রাখতে আসেন। পথিমধ্যে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ছিনতাইকারীরা বাজার সংলগ্ন ব্রিজের পাশ থেকে ওই ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাত ও মারধর করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। ব্যবসায়ী মুসার চিৎকারে সে সময় আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া দিলে টাকার ব্যাগ ফেলেই পালিয়ে যায় তারা। ব্যবসায়ী মুসা আতাইকুলা থানায় মৌখিক অভিযোগ করলে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিপুর এলাকা থেকে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন ও তার ছোট ভাই রানা ও মামা শিপনকে আটক করে।
এদিকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ব্যবসায়ীর ছেলে মুসাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু ইউনুস সমকালকে জানান, ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে রুহুল আমিন এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সমকালকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের পদে থেকে কেউ অপকর্ম করলে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক শাস্তি তাকে পেতেই হবে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এই সিদ্ধান্তকে আমি সাধুবাদ জানান। দুই একজনের জন্যে দলের সুনাম নষ্ট হোক তা কখনোই আমাদের কাম্য নয়।’
আতাইকুলা থানার ওসি নাসিরুল আলম আরও জানান, ছিনতাইয়ের অভিযোগে থানায় মামলা হওয়ার পর আটকদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। ছাত্রলীগ নেতা রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে আগেও থানায় একাধিক অভিযোগ ছিল বলে জানান তিনি।