ডিম যে স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ভালো, সেতো সবাই জানেন। কিন্তু ডিমের খোসাও কম উপকারি নয়। কোন কোন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে,ডিমের খোসা? ডিমের খোসা ক্যালসিয়ামে ভরপুর।
সেই কারণে গাছের সার হিসেবে ডিমের খোসা অতুলনীয়। তাই ফেলে না দিয়ে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে গাছের গোড়ায় দিতে পারেন,গাছ পুষ্টি পাবে।ডিমের খোসার ফার্স্ট এইড হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। ডিম সিদ্ধ করার পর খোসা এবং এগ হোয়াইটের মধ্যে যে পাতলা সাদা একটা আবরণ থাকে,সেটি সাধারণ কাটা-ছেঁড়া সারাতে দারুন উপকারী হতে পারে। ওই আবরণটি ব্যান্ডেজের মতো কাটা জায়গায় লাগিয়ে রাখলে খুব তাড়াতাড়ি রক্ত বন্ধ হয়ে যায়।রান্নাঘরের সিংক পরিষ্কার করতেও ডিমের খোসা দারুন কাজে লাগতে পারে।সিংকের নলে খাবারের টুকরো আটকে অনেক সময় মুখ বন্ধ হয়ে যায়। বাসন পরিষ্কার করার সময় সিংকের মুখে একটু বড় সাইজের ডিমের খোসা রেখে দিলে খাবারের টুকরো তার মধ্যে থেকে যাবে।রুপোর বাসন পরিষ্কার করতেও ডিমের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে।হার্ডবয়েল্ড ডিমের খোসা গুঁড়ো করে তা দিয়ে রূপোর বাসন আর গয়না পরিষ্কার করলে একদম ঝকঝকে হয়ে যাবে।ফ্লাস্ক পরিষ্কার করতেও ডিমের খোসা ব্যবহার করতে পারেন।ডিমের খোসা টুকরো করে ফ্লাস্কের ভেতরে ফেলে দিন,তার মধ্যে গরম জল দিন।এবার মুখ বন্ধ করে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিয়ে খোসাসুদ্ধ জলটা ফেলে দিন।দেখবেন ফ্লাস্ক একদম নতুনের মতো হয়ে গিয়েছে।