২৪ ঘণ্টাও যায়নি, খাবারে বিস্ফোরক মিশিয়ে খাইয়ে অন্তঃসত্ত্বা হাতিকে হত্যা করা ঘটনার। বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল অন্তঃসত্ত্বা হাতির চোয়াল। ওষুধ দিয়েও বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাকে। এমন নৃশংস ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নৃশংসভাবে হাতিকে মারার ঘটনা ঘটেছে কেরালায়।
ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মাসখানেক আগে জঙ্গলের মধ্যে থেকে এক মরণাপন্ন হাতিকে উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। প্রাথমিক পরীক্ষায় মারাত্মক অসুস্থ হাতিটির চোয়াল ভাঙা বলে দেখেন বনকর্মীরা। এরপর ওষুধ-খাবার দিয়েও বাঁচানো সম্ভব হয়নি হাতিটিকে। উদ্ধার হওয়ার পরের দিনই মারা যায় হাতিটি।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সামনে আসে গা শিউরে ওঠা তথ্য। চোয়াল সম্পূর্ণ ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল নিরীহ হাতিটির। বনকর্মীদের অনুমান, শুধু এই নয়, সম্ভবত হাতিটিকে বিষও দেওয়া হয়েছিল।
এনডিটিভিকে এক বনকর্তা জানান, জখম অবস্থায় হাতিটিকে পাঠানাপুরম জঙ্গলে উদ্ধার করা হয়েছিল। অত্যন্ত দুর্বল থাকার জন্য ওকে ঘুমের ইনজেকশন দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। আমরা ওকে ওষুধ দিয়ে শুশ্রূষা করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ওই অবস্থায় সে আরও কয়েক কিলোমিটার হাঁটা লাগিয়েছিল। তারপরেই মৃত্যু হয়েছে তার।
অন্তঃসত্ত্বা হাতির মৃত্যুতে উত্তাল গোটা দেশ। এমন নৃশংসতা দেখে লজ্জায় ঘেন্নায় শিউরে উঠেছে গোটা দেশ।