করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঢাকাকে লকডাউন করা হবে কি না, তা সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। এখানে আদালতের কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন। একইসঙ্গে এ রিটের ওপর আদেশের জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে পুরো ঢাকাকে লকডাউন করার ঘোষণা চেয়ে গত ১১ জুন হাইকোর্টে রিট করা হয়। একইসঙ্গে রিটে করোনা চিকিৎসার সুবিধার্থে পর্যাপ্ত হাই ফ্লো নেজাল অক্সিজেন ক্যানোলা সংগ্রহের নির্দেশনা চাওয়া হয়। আইনজীবী মাহবুবুল ইসলামের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এ রিট করেন।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য, অর্থ ও প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল ও প্রশাসন), পুলিশ কমিশনার, র্যাবের মহাপরিচালক এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মেয়রকে বিবাদী করা হয়।
রিট আবেদনে বিবাদীদের ওপর নির্দেশনা চাওয়া হয়, পুরো ঢাকায় দ্রুত লকডাউন ঘোষণার জন্য। রিটে বলা হয়, পুরো ঢাকা শহর লকডাউনের পর উক্ত সময়ে সিটি করপোরেশনের মেয়ররা কাউন্সিলরদের মাধ্যমে প্রত্যেক এলাকায় প্রয়োজনে গরিবদের খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ করবেন। এ কাজে সরকার সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য করোনাকালে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।