বলিউডের প্রতিভাবান অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর যে শব্দটা সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে তা হলো নেপোটিজম। অভিনেত্রী কঙ্গনা বলছেন, ‘সুশান্ত পুরনো সাক্ষাৎকারেও বারবার স্বজনপ্রীতির কথা বলেছে। এসবের সঙ্গে ওর মৃত্যুর কোনো যোগ নেই?’
সুশান্তর মৃত্যুর জন্য সরাসরি কয়েকজনকে দায়ী করেন ভারতের জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এত সাফল্য পেলেও কখনো সুশান্তকে প্রথম সারির অভিনেতা মনে করা হতো না, কোনো স্বীকৃতিই পায়নি ছেলেটা। অথচ ‘গলি বয়’-এর মতো বাজে ছবি পুরস্কারে ভেসে যায়। এটা আত্মহত্যা নয়, পরিষ্কার খুন। আপনাদের ছবিতে সুযোগ চাই না, তবে আমাদের ছবি হিট হলে জোর করে ফ্লপ তকমা দেবেন না।’
এদিকে ৬ জন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বলিউডে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিনেতা, প্রযোজক ও লেখক কমল আর খান। তিনি বলেন বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের ৬ জন বলিউড নিয়ন্ত্রণ করেন বলে তিনি সরাসরি তীর ছোঁড়েন, যার মধ্যে সালমান খানেরও নাম রয়েছে। অবশ্য অভিনব কাশ্যপও একই অভিযোগ ছুঁড়েছেন সালমান খানের পরিবারের দিকে।
সুশান্ত সিংহ রাজপুতের অকালপ্রয়াণ ও তার নেপথ্যের অবসাদের চোরাস্রোত বলিউড ইন্ডাস্ট্রিকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে কতকগুলি বিতর্ক ও আত্মবিশ্লেষণের সামনে। ৩৪ বছরের এই তরুণ তুর্কির উত্থানের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ানোর পিছনে বলিউডের নামী ক্যাম্পের ষড়যন্ত্র ও চেনা রাজনীতির প্রসঙ্গে সরব অনেকেই।