শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষা। ফলাফল হাতে পাওয়ার পর নেগেটিভরা ৯ সেপ্টেম্বর থেকে আবারো শুরু করবেন ব্যক্তিগত ঐচ্ছিক অনুশীলনে। জানিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী। এদিকে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার কথা চিন্তা করে পুরো মিরপুর স্টেডিয়ামকে ভাগ করা হবে লাল-হলুদ-সবুজ এ তিন জোনে।
১৯ জুলাই থেকে শুরু তারপর নিয়মিত ভাবেই চলছিল ক্রিকেটারদের ঐচ্ছিক অনুশীলন। তবে হঠাৎই ছন্দপতন তিন সাপোর্টিং স্টাফের কোভিড পজিটিভের খবরে। ফলে বাধ্য হয়েই ক্রিকেটারদের করোনা পরীক্ষার সময় আনা হয়েছে এগিয়ে, থেমে গেছে অনুশীলন। তবে স্বস্তির খবর হলো, ৯ সেপ্টেম্বর থেকে আবারো মাঠে ফিরছে মুমিনুলের দল। আর কোভিড পরীক্ষায় কারো পজিটিভ আসলে তার আইসোলেশন হবে বিসিবির তত্ত্বাবধানে।
এ ব্যাপারে বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা পরীক্ষা করাচ্ছি। বিদেশ থেকে যে কোচরা এসেছেন তাদেরও পরীক্ষা করানো হবে। এর মধ্যে যারা নেগেটিভ হবে তারা অনুশীলনে ফিরবে। আর নেগেটিভ হলে আইসোলেশনে রাখা হবে। তবে এইচপির খেলোয়াড়দের এখনো করা হয়নি।’
এখানেই শেষ নয়, পূর্বের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার নতুন পথে হাঁটছে বোর্ড। ক্রিকেটারদের সুরক্ষা নিয়ে এবার আর করা হব না কোনো আপস। পুরো স্টেডিয়াম পাড়াকে করা হতে তিন জোনে ভাগ। যেখানে প্রবেশের জন্য থাকবে আলাদা অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডও।
দেবাশিষ চৌধুরী আরও বলেন, ‘আবাসিক ট্রেনিং ক্যাম্প শুরুর পর সিকিউরিটি বাবল করে ফেলব। এছাড়া তিনটি জোনে ভাগ করবো এবং অ্যাক্রিডিটেশন কার্ডের ব্যবস্থা করবো। এতে জোন মেইন্টেন করা সহজ হবে।’
কোভিডকালে ক্রিকেটারদের আরও সচেতন করতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে দুই করোনা বিশেষজ্ঞ। খবরটি পুরোনো। নতুন খবর হলো এ দুজন মুশফিক-তামিমের সাথে প্রথম দফায় অনলাইনে সেরেছেন আলোচনা। ধারাবাহিক ভাবে যা চলবে শ্রীলঙ্কায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত।
২১ তারিখ থেকে ক্রিকেটারদের দলগত অনুশীলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা আগাতে পারে দুই দিন। ২৭ সেপ্টেম্বর দ্বীপ রাষ্ট্র শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে টাইগাররা।