বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আর কিছু দিন পর স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি হবে। কিন্তু দেশ আবার বিশৃঙ্খল হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছিলাম দেশকে স্বাধীন করতে। দেশের মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এবং বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করার জন্য। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের ওপর মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা তা প্রতিষ্ঠা করার জন্য, গণতান্ত্রিক সমাজ বির্নিমাণ করার লক্ষ্যে আমরা যুদ্ধ করেছি। আমরা দেশকে স্বাধীন করেছি।
শুক্রবার (১ জানুয়ারি) রাতে বিএনপির অনুসারি সংগঠন ছাত্রদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
এসময় তিনি আরো বলেন, ‘‘যে দলটি দাবি করে তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছে, সেই দলটির হাতে দ্বিতীয় বারের মতো গণতন্ত্র হত্যা হলো’’।
ছাত্রদলের ৪২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে মহানগরের সহস্রাধিক নেতাকর্মীরা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারতে অংশ নেন। এরপর সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সন্ধ্যার দিকে অনলাইন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭২ সালের পরেও এই আওয়ামী লীগ সেদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল। তারা ধীরে ধীরে মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছে। প্রথমে তারা জরুরি অবস্থা ও আইন করে এবং তারও আগে বিশেষ ক্ষমতা আইন, জরুরি অবস্থা সর্বশেষে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল করেছে।
আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, একদিকে তারা গণতন্ত্রের নামে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে যাচ্ছে। অন্যদিকে আপসহীন জনগণের নেত্রী, যিনি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন, সংগ্রাম করছেন তিনি এখনও এই গণতন্ত্রের জন্যই কারাগারে আছেন।’ আমাদের তরুণ নেতা যাকে নিয়ে আমরা স্বপ্ন দেখি তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে করা হয়েছে নির্বাসিত। এছাড়া দেশের ৩৫ লক্ষ মানুষের বিরুদ্ধে দেওয়া হয়েছে মামলা যারা সকলেই গণতন্ত্রকামী।