বিএনপির আন্দোলনের ডাক শুনে জনগণ হাসে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের ১২ বছর পার হয়ে গেলেও বিএনপি কোন বছরে আন্দোলন করবে দলটির কাছে সে প্রশ্নও রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শনিবার (২ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।
নতুন বছরে বিএনপিকে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলে প্রাধান্য পাচ্ছে না।
বিএনপি নতুন বছরে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করার ঘোষণা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থানের বস্তুগত দিক এখন দেশে নেই।
বিএনপির আন্দোলনের ডাক প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, দেখতে দেখতে সরকারের ১২ বছর চলে গেল, কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর।
নতুন বছরে রাজনীতি কেমন হবে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অধিকতর সুগঠিত এবং স্মার্ট একটা দল গড়ে তোলা হবে। দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা আরও মজবুত করা হবে।
সারাদেশে যেসকল জেলা ও মহানগরে কমিটি হয়নি সেসব এলাকায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করার কথা জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিতর্কিতরা যাতে দলের নেতৃত্বে আসতে না পারে সে বিষয়ে দল সচেষ্ট থাকবে।
সড়কে শৃঙ্খলা ফেরার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার কথা জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, নতুন বছরে সড়ক ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যত্নবান হতে হবে এবং যাত্রীদের সুরক্ষায় যা যা করার তা করতে হবে।
বিআরটিএ’তে দালালের দৌরাত্ম দূর করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কারও কারও দালালদের সঙ্গে যোগসাজস আছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সড়কে তিন চাকার মোটরযান বন্ধ এবং মোটরযান নির্মাণের কারখানাগুলোও বন্ধ করার নির্দেশ দেন সেতুমন্ত্রী। ওবায়দুল কাদের মালিক-শ্রমিকদের আবারও স্মরণ করে দিয়ে বলেন, গাড়িগুলোতে যত আসন তত সিট অবশ্যই মানতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি।
রাজধানীর বনানী’র বিআরটিএ প্রান্তে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।