প্রেমে পড়া বারণ/ কারণে অকারণ। এই গানের কথার মতই সত্য। হ্যাঁ, জীবনসঙ্গী থাকলে অন্যজনের দিকে আকৃষ্ট হওয়াটা নিতান্তই অন্যায় হিসেবে দেখে থাকে আমাদের সমাজ। যে আকৃষ্ট হচ্ছে তার অন্যায় কিনা সে বিষয়ে মন্তব্য না করে বলাই যায়, জীবনসঙ্গীর প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে। মূলত, এক্ষেত্রেই বলা হয় ঠকানো হচ্ছে জীবনসঙ্গীকে। কিন্তু, মন আকর্ষিত হলে মস্তিষ্ক আর কি বা করবে!
কিন্তু কেন এমনটা হয়?
এর পেছনে চারটি বড় কারণ রয়েছে বলে জিনিউজের একটি লেখায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বেশিভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, সুন্দরের প্রতি আকর্ষিত হয় মানুষ। সেখান থেকেই শারীরিক আকর্ষণ। তার মূল কারণ, আপনি বডি সেমিং করেন। মানুষকে ভালোবাসেন না। বাহ্যিক গড়নে আপনার ভালোবাসা। তাই সহজে মন সরে যায় জীবনসঙ্গীর থেকে।
সহজে আপনার কাছে কোনও জিনিস একঘেঁয়ে হয়ে যায়। নতুন প্রেমে যে মজা, রোম্যান্স থাকে সেটি আপনার পছন্দের। আপনার মন অন্য কারও প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করে। কাজেই, আপনার জীবনসঙ্গীর সঙ্গে সেই শুরুর দিনগুলি যেমন কেটেছে তা বজায় রাখুন।
যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে সময় দেওয়া খুব জরুরি। আপনি যখন আপনার সঙ্গীকে সময় দেবেন না, এমন পরিস্থিতিতে আপনার সঙ্গী অন্য কারও প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে। তাই আপনার সঙ্গীর জন্য সময় নেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। জীবনসঙ্গীকে ছেড়ে অকারণে, অন্যজনের সঙ্গে মেসেজ বা ফোনে বা ক্যাফেটেরিয়ায় সময় কাটাবেন না। এত আপনার দুর্বলতা বাড়বে।
সন্দেহ সম্পর্কের ভিত নড়িয়ে দেয়। সন্দেহ দানা বাঁধলে লজ্জা কাটিয়ে সেটি প্রকাশ্যে নিয়ে এসে সমাধান করুন। গোপনীয়তা থেকেই সন্দেহ জন্মায়। তখনই অশান্তি সম্পর্ককে তিক্ত করে। সহজে অন্যজনের প্রতি না পাওয়াটা পেতে চান আপনি।