গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। গত বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে তাকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার ব্যক্তিগত সহকারী মমিনুর রহমান সুজন জানান, ব্যারিস্টার মওদুদ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট চার্লস তোহ এর প্রেসক্রিপশনের ওষুধ খাচ্ছিলেন। এর মধ্যে দেশের বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারের কার্ডিওলজিস্ট শাহাবুদ্দিন তালুকদারও শরীরের ভিন্ন একটি বিষয়ে একই ওষুধ দিয়েছেন। ছয়মাস ধরে বিএনপির এই নেতা রিভারক্স আর প্যারাডক্সা নামের একই ওষুধ একসাথে খান। এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় তার শরীরে ইন্টারনাল ব্লিডিং হয়। এতে শরীরের হিমোগ্লোবিন কমে যায়।
হাসপাতালে ভর্তির আগের কয়েকদিন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বিছানা থেকে উঠতে পারছিলেন না ও চোখ খুলতে পারছিলেন না। পরে অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে এভারকেয়ারের সিসিউতে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে হাসপাতালে দুই ব্যাগ রক্তও দেয়া হয়।
সুজন জানান, এখন ব্যারিস্টার মওদুদ কিছুটা সুস্থতা অনুভব করছেন। দুই তিন পরে হাসপাতাল থেকে বাসায় যেতে পারবেন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
নতুন বছরে বিএনপিকে ইতিবাচক রাজনীতিতে ফেরার আহবান কাদেরের
শনিবার (২ জানুয়ারি) সকালে সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তিনি।
সে সময় বিএনপি নতুন বছরে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করার ঘোষণা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণঅভ্যুত্থানের বস্তুগত দিক এখন দেশে নেই। দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলে প্রাধান্য পাচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির আন্দোলনের ডাক প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেখতে দেখতে সরকারের ১২ বছর চলে গেলো, কিন্তু আন্দোলন হবে কোন বছর। জনগণও এখন তাদের আন্দোলনের কথা শুনলে হাসে।’
আওয়ামী লীগের নতুন বছরে রাজনীতি কেমন হবে জানতে চাইলে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অধিকতর সুগঠিত এবং স্মার্ট একটা দল গড়ে তোলা হবে। দলের অভ্যন্তরে শৃঙ্খলা আরও মজবুত করা হবে।
সারাদেশে যে সকল জেলা ও মহানগরে কমিটি হয়নি সেসব এলাকায় সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে উল্লেখ করে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড বলেন, বিতর্কিতরা যাতে দলের নেতৃত্বে আসতে না পারে সে বিষয়ে দল সচেষ্ট থাকবে।
ওবায়দুল কাদের জানান, সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারকে অব্যাহত সহযোগিতা দিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, নতুন বছরে সড়ক ও মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যত্নবান হতে হবে। যাত্রীদের সুরক্ষায় যা যা করার তা করতে হবে।
তিনি বিআরটিএতে দালালের দৌরাত্ম দূর করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে বলেন, কারো কারো দালালদের সঙ্গে যোগসাজশ আছে, তা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
রাজধানীর বনানী’র বিআরটিএ প্রান্তে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, বিআরটিএ’র চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।