‘স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে চলেছে কিন্তু আমরা বুক ফুলিয়ে বলতে পারছি না আমরা স্বাধীন। আমরা বলতে পারছি না যে আমরা গণতান্ত্রিক দেশে বাস করছি, আমার অধিকার আছে, আমার কথা বলার অধিকার আছে। বলতে না পারা থেকে দুর্ভাগ্য আর কী হতে পারে?’
শনিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক মন্ত্রী, সম্প্রতি প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ’র স্মরণসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ মন্তব্য করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের বিরল প্রজাতির রাজনীতিবিদ যারা হারিয়ে যাচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ। যারা রাজনীতিকে সত্যিকার অর্থেই জনগণের কল্যাণে নিয়োজিত করেছে। তারা নিজেদের ভাগ্য বৃত্ত পরিবর্তনের জন্য রাজনীতিতে যাননি। চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ তাদের একজন। তিনি শুধু ফরিদপুরের নেতা বলে মনে করি না। তাকে জাতীয় নেতা হিসেবে দেখেছি, জাতীয় নেতা হিসেবে দেখতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা দুঃসময় পার করছি। শুধু বাংলাদেশ ও ফরিদপুরে নয়; পুরো পৃথিবী জুড়ে এখন চরম দুঃসময় চলছে। একদিকে করোনাভাইরাসের আগ্রাসন অন্যদিকে গণতন্ত্রের মৃত্যুর দিকে চলে যাওয়া। ডেমোক্রেসি ইস ডাই। কর্তৃত্ববাদ , একনায়কতন্ত্র, বেড়ে উঠছে। একই সাথে দাম্ভিকতা, অহংকার, সাধারণ মানুষকে অবজ্ঞা, এখনকার রাজনীতির একটা অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের এখানে সবই আছে। সরকার আছে। বলা হয় গণতন্ত্র আছে, পার্লামেন্ট আছে, ডেমোক্রেসি আছে কিন্তু মানুষের অধিকার নেই। একজন মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়। থানায় ধরে নিয়ে গুলি করে মেরে ফেলা হয়।’
তিনি আরো বলেন, আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ চাই, ‘আমরা গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই। কোন প্রভুত্বে আমরা বিশ্বাস করি না। আমরা কারো পদানত হতে চাই না। আমরা মাথা উঁচু করে বিশ্বের দরবারে চলতে চাই। এই হচ্ছে আমাদের রাজনীতি।’