ছেলেকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) শফিকুল ইসলাম সোহাগকে ঘুষ দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমির হামজা। শুক্রবার (১ জানুয়ারী) রাতে রাজধানীর গুলশানে আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কার্যালয় থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
শফিকুল ইসলাম সোহাগ জানান, সম্প্রতি কিশোরগঞ্জ আদালতে সরকারি চাকরির একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়। ওই চাকরির জন্য মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা কসবা-আখাউড়া উপজেলার অনেকে আবেদন করেছেন। আখাউড়ার ধরখার ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জিল্লুর রহমানের ছেলে হাসিবুল হাসানও আবেদন করেন। তার চাকরি পাইয়ে দেয়ার জন্য শুক্রবার রাতে আমাদের অফিসে আসেন আমির হামজা।
তিনি আরও বলেন, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা হয়ে আখাউড়া উপজেলার চাকরি প্রার্থীর জন্য আসায় আমার তাকে সন্দেহ হয়। মন্ত্রীর মাধ্যমে চাকরি পাইয়ে দিলে আমাকে খুশি করবেন বলে জানান আমির হামজা। এক পর্যায়ে আমাকে দুই লাখ টাকা অফার করেন তিনি। বিষয়টি তাৎক্ষণিক মন্ত্রী ও কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবনকে জানাই। পরবর্তীতে মন্ত্রীর নির্দেশে আমির হামজাকে পুলিশে দেয়া হয়।
কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল কাউসার ভূঁইয়া জীবন বলেন, আাইনমন্ত্রী দুই হাজার মানুষকে চাকরি দিয়েছেন। কারো কাছে টাকা নেয়নি। তিনি যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, সেটি খুবই দুঃখজনক। তার বিরুদ্ধে আমরা সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।