‘সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের এমপিরা নির্বাচিত হওয়া দূরে থাক পালানোর দরজাও খুঁজে পাবে না’। ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই আব্দুল কাদের মির্জার এমন বক্তব্য বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির বাস্তব চিত্র বলে দাবি করেছে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, আপনাদের অনেকেই হয়তো সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ওবায়দুল কাদেরের আপন ছোট ভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার একটি বক্তব্য শুনেছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভার বটতলা চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কাদের মির্জা বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের এমপিরা নির্বাচিত হওয়া দূরে থাক পালানোর দরজাও খুঁজে পাবে না’। আব্দুল কাদের মির্জার বক্তব্য বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির বাস্তব চিত্র। আমরা আশা করি, আব্দুল কাদের মির্জার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা না খুঁজে ওবায়দুল কাদের সাহেব নিজের আপন ছোট ভাইয়ের বক্তব্যের গুরুত্ব অনুধাবন করবেন।
সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা, মন্ত্রী বিশেষ করে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রতিদিন প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে মনগড়া বক্তব্য দেওয়াকেই নিজেদের একমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করেছেন। কারণে- অকারণে প্রতিদিন বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার জনগণের কাছে ওবায়দুল কাদেরকে একটি হাস্যকর চরিত্রে পরিণত করেছে। এটি তিনি বুঝতে পারছেন বলে মনে হয় না। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গণভবনের চার দেয়ালে আটকে পড়া শেখ হাসিনা কিংবা র্যাব-পুলিশের পাহারায় টিকে থাকা ওবায়দুল কাদের সাহেবরা বুঝতেই পারছেন না যে, তারা এখন গণদুশমনে পরিণত হয়েছেন। তাই অযথা বিএনপির বিরুদ্ধে বালখিল্যসুলভ বক্তব্য-মন্তব্য করা ছাড়া তাদের হাতে আর কোন কাজ নেই।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, সম্প্রতি নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে কুষ্টিয়া পুলিশের এসপি যেভাবে জনগণের প্রতি হুঙ্কার দিয়েছেন তাতে গণতন্ত্রকামী মানুষের কাছে এটা পরিষ্কার হয়েছে, এই সরকারটি শুধুমাত্র গণতন্ত্র ও আইনের শাসনেরই কবর রচনা করতে গিয়ে তারা পুলিশকে বেআইনি কাজে উৎসাহ দিচ্ছে। স্রেফ কোনোভাবে ক্ষমতায় টিকে থেকে দুর্নীতি লুটপাট চালানোর সুযোগ নিতে নিজেদের আত্মমর্যাদাও বলি দিয়েছে। জনগণের কষ্টার্জিত অর্থে প্রজাতন্ত্রের বেতনভোগী একজন কর্মচারী-এসপি দেশের নাগরিকদের প্রতি যে ধরনের শব্দ ব্যবহার করে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে সরকারের উসকানি রয়েছে। প্রশাসনের এই ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য নজীরবিহীন।