ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ডাকাতি করার অভিযোগে কথিক এক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃতের নাম দিদার আলম(২৫)। সে কাউতলি এলাকার মো: সেলিমের ছেলে। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) ভোর রাত আনুমানিক ৪টা সময় তাকে তার কাউতলির নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দিদারের নামে শহরের বিভিন্ন স্থানে নিজেকে ছাত্রলীগ নেতা দাবী করে বেনার-ফেস্টুন সাটানো আছে। সেখানে দিদার নিজেকে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দাবী করতে দেখা যায়।
পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত ৯ ডিসেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাউতলিতে গ্যাসের লাইন চেক করার কথা বলে দিনে-দুপুরে এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতি হয়েছিল। এবং এই ঘটনার মূল হোতা দিদার। এ ব্যপারে তার এলাকা কাউতলিতে খোজ-খবর নিলে জানা যায়, আপন চাচাত বোনের বাড়িতেই ডাকাতি করেছে দিদার। তার আগেও তার নামে মোটরসাইকেল চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে, কিন্তু কাউতুলি এলাকার প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান হওয়ায় এবং রাজনৈতিক নেতারদের ছত্রছায়ায় দিনে দিনে দুর্ধর্ষ হয়ে উঠেছে দিদার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহীম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ডাকাতির অভিযোগ পাওয়ার পর নিজেরা অনুসন্ধান করে তাকে গ্রেফতার করেছি। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি করার তথ্য প্রমান পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী খায়রুল জানিয়েছেন, বিভিন্ন অভিযোগে দিদারকে অনেক আগেই সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন সে ছাত্রলীগের নাম বেচে চলে। বিভিন্ন স্থানে বেনার ফেস্টুন লাগায়। এর দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ নিবেনা।
উল্লেখ্য, গত ৯ ডিসেম্বর বুধবার দুপুর আড়াইটা থেকে ৪টা পর্যন্ত জেলা শহরের কাউতলি এলাকার প্রবাসী রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ডিাকাতির ঘটনা ঘটে। অস্ত্রের মুখে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে ২২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ৫০ হাজার টাকা ও চার লাখ টাকা মূল্যের একটি ঘড়ি নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।