দেশে করোনার ভ্যাকসিন আসার চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। টিকা হাতে পাওয়ার ৭ দিন পর প্রয়োগ শুরু হবে। ২১ থেকে ২৫শে জানুয়ারির মধ্যে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম।
সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা আসার পর সেগুলো স্টোরেজে রাখা হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির জন্য। টিকা পাওয়ার ৭ দিন পর প্রয়োগ শুরু হবে। এ সাতদিন স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে।
টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই কম উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টিকা গ্রহণের পর কোনো অসুবিধার দায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বা সরকার নেবে না। তবে, টিকা গ্রহণের পর সামান্য জ্বর, মাথা ব্যথা, বমি ও টিকা দেয়ার স্থানে ব্যথা হতে পারে। এসব উপসর্গ শতকরা হিসেবে খুব কম মানুষেরই হতে পারে। এরপরও যদি কারও বড় ধরনের উপসর্গ দেখা দেয় সেজন্য টিকাদান কেন্দ্রে মোবাইল মেডিক্যাল টিম ও বেসিক মেডিসিন রাখা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনামত নির্দিষ্ট জায়গায় টিকা সরবরাহ করবে বেক্সিমকো। প্রথমে জেলা পর্যায়ে টিকা পাঠানো হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। সারা দেশব্যাপী টিকা হবে বলেও জানানো হয়।
টিকার ৫০ লাখ ডোজই প্রথম ধাপে দেয়া হবে। দুই মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। চলতি বছর ৬ মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা দেশে আসবে। যা প্রয়োগ করা যাবে দেড় কোটি মানুষের ওপর। এছাড়া টিকা সরবরাহে পুলিশ সহায়তা করবে বলেও জানান এবিএম খুরশীদ আলম।
টিকা দেয়ার আগেই মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে টিকাদানের কেন্দ্র ও টিকা গ্রহণের সময় জানিয়ে দেয়া হবে। এমনকি টিকা দেয়ার পর সার্টিফিকেট দেয়া হবে।
সোর্সঃ শীর্ষনিউজ