যশোরে ইমরান নামে এক পুলিশ সদস্যকে মারপিট ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে যশোর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপুসহ ৪ জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। সোমবার রাত ৮টার দিকে শহরের পুরাতন কসবা শহীদ মিনার এলাকায় ওই পুলিশ সদস্যকে মারপিট করা হয়।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রাত ৮টার দিকে পুলিশ লাইন্সে কর্মরত কনস্টেবল ইমরান সাদা পোশাকে পুরাতন কসবাস্থ শহীদ মিনারে বসে এক নারীর সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতাকর্মী সেখানে গিয়ে নারীর সঙ্গে গল্প করতে দেখে তার ওপর চড়াও হন। নিজের পরিচয় দিয়ে ও পরিচয়পত্র দেখিয়ে পুলিশ কনস্টেবল ইমরান এর প্রতিবাদ করেন। কিন্তু তারা ক্ষ্যান্ত হয় না। তাকে শহীদ মিনার থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় আবু নাসের ক্লাবে।
জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার একজন সদস্য জানান, ওই ঘটনার সময় সেখানে আসেন শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বিপু। তিনি এ সময় পুলিশ কনস্টেবলকে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে সেখান থেকে রিকশায় বসিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পুরাতন কসবা কাঠালতলায়। সেখানে নিয়ে ইমরানকে বেদম প্রহার করা হয়। এ খবর পেয়ে পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা শহীদ মিনার ও কাঁঠালতলায় ছুটে যান। এর প্রেক্ষিতে যারা ইমারানকে ধরে নিয়ে গিয়েছিলেন, তারাই আবার তাকে শহীদ মিনার এলাকায় এনে রেখে যান। পুলিশ এ ঘটনায় মাহমুদ হাসান বিপুসহ ৪ জনকে হেফাজতে নেয়।
কোতয়ালি থানা পুলিশের ইনসপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমীম আলম জানান, সেখানে (শহীদ মিনারে) দু পক্ষের মধ্যে একটু ধস্তাধস্তি হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন। খবর পেয়ে ওসি মো. মনিরুজ্জামানসহ তারা ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু শহীদ মিনারে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, ওই ঘটনায় মাহমুদ হাসান বিপুসহ ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে জানান, বিপু ও তার লোকজন পুলিশ সদস্যকে মারপিট করে আইন ভঙ্গ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়েছে। শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আপনাদের জানানো হবে।